আশাশুনি সদর বাজার রক্ষার দাবীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
জি.এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি সদর বাজার রক্ষার দাবীতে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আশাশুনি সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও বণিক সমিতির যৌথ আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেনের সভাপতিত্বে ও বাজার বণিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্সের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগ নেতা মোল্যা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম চক্রবর্তী, সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান স.ম সেলিম রেজা মিলন।
উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি রাশেদ সরোয়ার শেলী, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মোঃ সামছুল আলম, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি রুহুল আমিন, সেক্রেটারী ইয়াহিয়া ইকবাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি এস,এম সাহেব আলী, ইউপি সদস্য শাহিনুর ইসলাম, কৃষকলীগের সেক্রেটারী মতিলাল সরকার, বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন সহ বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, মরিচ্চাপ নদী খনন বর্তমান সরকারের একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ হলেও এর সুফল থেকে সদরের লোকজনকে বি ত করতে একটি মহল চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা সিএস ম্যাপের বাইরে থেকে আশাশুনির পারের রেকর্ডীয় জমি খননের মাধ্যমে আশাশুনি সদর বাজারকে নিশ্চিহ্ন করতে ষড়যন্ত্র করছে। মরিচ্চাপ ব্রীজের নীচে থেকে পুরানো গোডাউন ঘাট পর্যন্ত ছোট জায়গায় আশাশুনি উপজেলা সদরের হাট বাজার ও প্রায় ৬ শ এর মতো দোকান পাট রয়েছে।
নদী খনন কাজ শুরু হলে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নদীর উত্তর পাশে চাপড়া গ্রামের চর না কেটে আশাশুনি (দক্ষিণ পাশে) পারের দোকান পাটের গা ঘেঁষে খনন কাজ শুরু করে যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাÐ। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী অথবা ব্রীজের নিচে থেকে সোজাসুজি পুরানো গোডাউন ঘাট পর্যন্ত খনন করে আশাশুনি সদর বাজার রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হলে বাজার বাঁচবে এবং ব্যাবসায়ীরা বাঁচবে।
যতদিন পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। উপস্থিত ৫ শতাধিক মানুষ এ দাবির সাথে একমত পোষণ করে দোকান পাট বন্ধ রেখে ঘণ্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সমস্যা সমাধানে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আন্দোলনরত আশাশুনি বাজার রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)