আশুলিয়ায় কী ঘটেছিল সেদিন?
পুলিশের ভেস্ট ও মাথায় হেলমেট পরা এক ব্যক্তি আরেক জনের সহায়তায় একটি ভ্যানে একজন যুবকের মরদেহ তুলছেন, এমন একটি ভিডিও বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, আগে থেকে আরো কয়েকজনের মরদেহ ওই ভ্যানের ওপরে ছিল। তার ওপরে আরও মরদেহ স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। এক মিনিট আঠাশ সেকেন্ডের এ ভিডিওটি গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ধারণ করা।
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন।
এই ভিডিও সম্পর্কে আর কী জানা যাচ্ছে? যেসব মৃতদেহ স্তূপ করে রাখা হয়েছিল, তাদের পরিচয় সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক কত জন মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন? নিখোঁজদের বিষয়ে আদৌ কোনো তালিকা হয়েছে কিনা?
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ৫ অগাস্টের দিন আন্দোলনকারীরা থানার সামনে অবস্থান নেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও গুলি করে।
সেসময় সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় একজন সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা আশুলিয়ার থানার একদম পাশেই। পুলিশ যখন গুলি করে তখন বেশ কয়েকজন নিহত হয়। এখানে সেখানে লাশগুলো পড়ে থাকে। এ অংশটুকু আমার নিজে চোখে দেখা।
তিনি জানান, এক পর্যায়ে আশেপাশে পড়ে থাকা ছয় জনের মরদেহ পুলিশ একটা ভ্যানের মধ্যে উঠায় যেটার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। থানার সামনে দোতলা ভবনের জানালা দিয়ে একজন এই ভিডিও ধারণ করেন।
তবে, এই মরদেহগুলো কীভাবে পুলিশের গাড়িতে গেলো সেটা জানা যায় নি বলে জানান এই সাংবাদিক। অনেকেই ধারণা করছে পুলিশই অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়ার জন্য তাদের গাড়িতে মরদেহগুলো রেখেছিল।
তিনি বলেন, যখন আন্দোলনকারীরা থানায় হামলা চালায়, থানার সামনে আশেপাশে যত গাড়ি ছিল সবগুলোতেই আগুন ধরায়ে দিয়েছিল। তেমনই একটা পুলিশের গাড়িতে ছিল লাশগুলো। ওইগুলাও কিন্তু আগুনে পুড়ে যায়, একেবারেই ছয়টাই।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)