বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

উত্তাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা, এক দফা ঘোষণা

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রীসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার এলাকা, হাজারো মানুষের ঢল

শ্রাবণের বৃষ্টিভেজা দুপুরে বিক্ষোভে ফুঁসছে ঢাকা। কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

হাজারো শিক্ষার্থী একত্রিত হন শহীদ মিনার এলাকায়। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা।

শনিবার বেলা আড়াইড়ার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত যেতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে জ্যামিতিকহারে।

শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর,’ এসব স্লোগান দিচ্ছেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পাশাপাশি জড়ো হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারাও৷

শহীদ মিনারের মূল বেদি এবং সংলগ্ন সড়কে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারাও।

এ সময় তারা ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

স্লোগান ও জনতায় উত্তাল

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় একত্র হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা আসছিলেন।

শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে, আন্দোলনকারীদের সংখ্যা তত বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

শহীদ মিনার এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে,’ ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস,’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত,’ ‘স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে,’ ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো,’ ‘বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর’, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, অভ্যুত্থান’, ‘পদত্যাগ পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ এমন নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে গতকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও কাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

আজকের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড়ে দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে রওনা হন। বেলা তিনটার দিকে সায়েন্স ল্যাব থেকে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা বেলা তিনটায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে সংগীতশিল্পীরা শহীদ মিনারে রওনা দেন। মিছিল নিয়ে বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছান।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হাজারো মানুষের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা। একদিকে জগন্নাথ হল, অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, আরেক দিকে দোয়েল চত্বর ছাড়িয়ে গেছে জনতার ঢল। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও লোকজন শহীদ মিনারের দিকে আসছেন।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের আজ সশরীর শহীদ মিনার এলাকায় আসার কথা রয়েছে। ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি জোর করে তুলে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। নাহিদ ও আসিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরদিন ২৭ জুলাই সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জোর করে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৮ জুলাই ভোররাতে বাসা ভেঙে জোর করে নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ছয়জন গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ডিবির হেফাজত থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পেয়ে তাঁরা বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তাঁরা দিয়েছিলেন, সেটা স্বেচ্ছায় দেননি। তাঁরা বলেন, ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তথ্যসূত্র: মানবজমিন, যুগান্তর, প্রথম আলো

একই রকম সংবাদ সমূহ

টিএসসিতে আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গায়েবানা জানাজা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আইনজীবী সাইদুল ইসলাম আলিফের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বিস্তারিত পড়ুন

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ

চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়বিস্তারিত পড়ুন

আইনজীবী হত্যায় জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তি হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসব সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছেবিস্তারিত পড়ুন

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার, উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজনসহ ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া
  • উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন?
  • সংকট সমাধানে জনসমর্থিত সরকার প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল
  • বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • রাজধানীর তিন এলাকায় বিজিবি মোতায়েন
  • চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহবান হাসনাতের
  • যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় বিজিবি মোতায়েন
  • অটোরিকশা চালকদের কর্মসূচি স্থগিত
  • সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করবো: সিইসি
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস বললেন ‘আমরা আনন্দিত ও গর্বিত’
  • খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল