ঐতিহাসিক দলিলপত্র ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন
সারাদেশের সব আদালত ও আইনজীবী সমিতিতে থাকা ঐতিহাসিক দলিলপত্র ও মূল্যবান সামগ্রীর তথ্য চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘরে এসব তথ্য সংরক্ষণের জন্য জেলা জজদের এ বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়। আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে বা ই-মেইলে এসব তথ্য দিতে বলা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় তালপাতায় লেখা রায় স্থান পায় জাদুঘরে। এটি ৩০৪ বছর আগে ১৭১০ সালের একটি মামলার রায়। ওই রায় লেখা হয়েছে তালপাতায়। সংস্কৃত ভাষায় লেখা ওই রায়ের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত থেকে।
রাজশাহী অঞ্চলের পাবনা মহকুমায় ১৮৬৭, ১৮৭০ এবং ১৯০৮ সালের বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় ৩টি রায় এবং ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কার্যবিবরণীর (সাত খন্ড) দলিল রয়েছে। জাদুঘরে স্থান পেয়েছে ভারত বিভাগের পর পাকিস্তান (প্রভিশনাল সংবিধান) আদেশ, ১৯৪৭ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাইকোর্টে ব্যবহৃত বেশ কিছু সামগ্রী ও নথি।
ঢাকা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ব্যবহৃত পদমর্যাদাসূচক টুপি, পুরাতন টাইপ রাইটার, দেয়াল ঘড়ি, পিতলের ট্রফি, চেয়ার, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল, দাঁড়িপাল্লা ও বাটখারা, কলম ও নিব এবং রেপ্লিকাও রয়েছে।
সম্প্রতি সব জেলা জজের কাছে পাঠানো সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘর কমিটির ৬ ফেব্রুয়ারির সভায় সারাদেশের অধস্তন আদালত ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত আদালত সম্পর্কিত মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে তথ্য পাঠাতে দেশের সব জেলা ও দায়রা জজ বরাবরে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
চিঠিতে দেশের সব জেলার অধস্তন আদালতে ও জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংরক্ষিত বা গোচরীভূত আদালতে ব্যবহৃত হয়েছে এমন পুরাতন মূল্যবান সামগ্রী ও ঐতিহাসিক দলিলপত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে সংরক্ষণের উদ্দেশে উল্লেখিত বিষয়ক তথ্যাবলী (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ছবিসহ) আগামী ১০ মার্চের মধ্যে ডাকযোগে ও ই-মেইলে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সব জেলা জজকে অনুরোধ করা হয়।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)