চুয়াডাঙ্গায় হিজড়াদের ১ লাখ টাকা নিয়ে বিবাদের মীমাংসা করেননি চেয়ারম্যান!
জনপ্রতিনিধির কাজই হচ্ছে জনগণের উপকার করা। জনগণ সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়লে তা মীমাংসা করার দায়িত্ব-কর্তব্য সংবিধানেই রয়েছে। যা শপথ করার সময়ও স্থানীয় সরকার জেলা প্রশাসক তা পাঠ করান। কিন্তু বর্তমানে রাজনীতি অঙ্গনে জনপ্রতিনিধিদের বদনাম ছড়িয়ে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়েই। হোক বর্তমান, হোক সাবেক। জনপ্রতিনিধিত্বের কোনো সময় বা ক্ষমতায় থাকা লাগে না। প্রকৃত পক্ষে জনপ্রতিনিধি ছাপ কখনও মোছা যায় না। সেআলোকে রাজনীতির সুনাম ক্ষুন্ন করার অধিকারও কারো নেই।
কিন্তু স্থানীয় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) সম্প্রদায়ের সাথে বহিরাগত তৃতীয় লিঙ্গদের (হিজড়া) সাথে বিবাদমান সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি নিরসনে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোক্তার ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবুও মীমাংসা করাতে পারেনি তিনি। এতে করে জেলাজুড়েই আলোচনার ঝড় বইছে। একদিকে যেমন মহত রাজনীতির সুনাম ক্ষুন্ন করেছেন তেমনী অভিযোগকারীরাও রয়েছে দুঃশ্চিন্তায়।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, জীবননগরের স্থানীয় হিজড়া স¤প্রদায় অনেক আগে থেকেই তাদের পেশাকে সামনে রেখে জীবনযাপন চালিয়ে আসছেন। এদিকে, বহিরাগত তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা (হিজড়া) প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় হিজড়াদের এলাকায় জোর করে চাঁদা তুলে আসছে পোড়াদহ এলাকার নয়ন তারা, বেবি ও আঁখি নামের তিন হিজড়া। এতে করে দীর্ঘ একবছর যাবৎ তাদের জীবনযাপনে সমস্যা তৈরী হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোক্তারের নিকট অভিযোগ করা হয়। তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন এবং স্থানীয় হিজড়ারা বিষয়টি সমাধানের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট ১ লাখ টাকাও দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন। পরে টাকা ফেরত চাইলেও তিনি ফেরত দিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে গত রবিবার (১অক্টোবর) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
বুধবার (০৪ অক্টোবর) শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে বিবাদীপক্ষ বহিরাগত হিজড়ারা হাজির না হওয়ায় শুনানি করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোক্তারের দাবি মতে এক লাখ টাকা দিয়েছিল স্থানীয় হিজড়ারা। তবুও সমাধান করে দিতে পারেননি তিনি।
অপরদিকে, জীবননগরের স্থানীয় হিজড়া স¤প্রদায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও করে। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয় পক্ষকে শুনানির জন্য (৪ অক্টোবর) বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু বিবাদীরা উপস্থিত না হয়ে সময় চেয়েছে। বর্তমানে বহিরাগত হিজড়াদের অত্যাচারে স্থানীয় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) পেশাজীবীকে ব্যাঘাত ঘটানোয় জীবননগর এলাকার হিজড়াদের জীবনযাত্রায় দারুণভাবে প্রভাব পড়েছে। এখন তারা অর্ধাহারে অনাহারে জীবনযাপন করছে।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মোক্তারের দাবি করা ১ লাখ টাকা ফেরত পাওয়াসহ বহিরাগত হিজড়াদের উচ্ছেদের দাবিতে অনড় ভুক্তভোগী হিজড়াসহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জীবননগরে বসবাসকারী হিজড়ারা দাবি করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ এলাকায় আমাদের পেশা চালিয়ে জীবনযাপন করছি। বাস্তবিক এখানে আমাদের অধিকার সবার আগে। আমরা সমাজবিচ্ছিন্ন মানুষ। এ অঞ্চলে আমাদের পেশায় বহিরাগতরা যাতে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে সুষ্ঠু বিচারের আশা করছি।
সৌজন্যে: আওয়ার নিউজ বিডি
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)