ঝড়ে লন্ডভন্ড চট্টগ্রাম
কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম নগরীসহ বেশকিছু এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সড়কে গাছ আছড়ে কোথাও কোথাও বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। এছাড়া, কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুরের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় ভারী বৃষ্টিপাত। প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে নগরীর নিম্নাঞ্চল।
ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, দেওয়ানহাট, মাদারবাড়ি, চকবাজার, ইপিজেড, জিইসি মোড়, হালিশহর, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, দুই নম্বর গেট, বাকলিয়া, চাঁদগাওসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এর পরিমাণ ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার।
কালবৈশাখী ঝড়ে নগরের কাজীর দেউড়ি এলাকার সার্কিট হাউজের পাশে দুটি বেশ পুরোনো গাছ বাতাসের চাপে উপড়ে গেছে। এতে সড়কের একপাশের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় এরকম বড়-ছোট গাছ পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নগরের জাকির হোসেন সড়কের ওমর গণি এমইএস কলেজ এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ট্রান্সমিটারসহ ভেঙে সড়কে পড়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বোয়ালখালী, মিরসরাই, রাঙ্গুনিয়া ও হাটহাজারীতে কাঁচা ও আধাকাঁচা ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। উড়ে গেছে বিভিন্ন বাড়ির চাল। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে অনেক গ্রাম।
খুলশী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা নুর উদ্দিন বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে নগরীতে দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সংযুক্ত ট্রান্সফরমার রাস্তায় ভেঙে পড়েছে। সংযোগ বন্ধ থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছেন।’
এদিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার আমজুরহাট, কমলমুন্সির হাট, বাইপাস ও চন্দনাইশের কাঞ্চননগর এলাকায় সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই উপজেলার কয়েকটি স্থানে গাছ পড়ে যান চলাচলে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একাধিক স্থানে গাছ উপড়ে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)