বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘তথ্য’ এখন ‘তথ্য ও সম্প্রচার’ মন্ত্রণালয়

তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়ে এখন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এবং সচিব খাজা মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাম পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে লিখেছিলাম, মন্ত্রিপরিষদ সেটি পর্যালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে রাষ্ট্রপতি সেটি অনুমোদন দেয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হয়ে গেজেট হয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য প্রদান বা সরকারের কাজগুলো জনসম্মুখে তুলে ধরা ছাড়াও সম্প্রচারের কাজটিও করে আসছে, এইজন্য আমরা চাচ্ছিলাম, এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ হোক এবং সেই কারণে আমরা নাম পরিবর্তন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করার জন্য আমরা প্রস্তাব করি, জানান তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রণালয়ের নামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম সরকার মুজিবনগর সরকার, যে সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মো: তাজউদ্দীন আহমদ, সেই সরকারের সময়ে এই মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়।’

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন, যখন এলোকেশন অভ বিজনেস ঠিক করা হলো তখন এই মন্ত্রণালয়ের নাম দেয়া হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে এই মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে তথ্য মন্ত্রণালয় হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেহেতু সম্প্রচারের কাজটি দেখভাল করি করা আমাদের দায়িত্ব, সেই কারণে কাজের সাথে মিল রেখেই নাম পরিবর্তিত হয়েছে। এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানে এই মন্ত্রণালয়ের নাম তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

‘কি কারণে ৮২ সালে এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তনটা আমি মনে করি যথাযথ ছিল না এবং কাজের ক্ষেত্র আমাদের একই আছে, কিন্তু এ নিয়ে নানা সময়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সেই বিভ্রান্তি এখন থাকবে না’ বলেন ড. হাছান।
মধ্যম আয়ে উন্নীত হবার পরেও জাতিকে অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ বিএনপি

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘এই মুজিববর্ষে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার ফাইনাল রিকমেন্ডেশন দিয়েছে জাতিসংঘ। বড়ই তাজ্জবের বিষয়, জাতির জীবনে এতবড় একটা সফলতা এলো বিএনপি এটি নিয়ে অভিনন্দন দিলেন না, তারা সরকারকে অভিনন্দন দেয়া তো দূরের কথা, এই জাতিকে অভিনন্দন দেয়া, সেটি দিতেও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ব্যর্থ হয়েছে।’

যারা ব্যর্থ ছিল তারা সবসময় সবকিছুর মধ্যেই শুধু ব্যর্থতা দেখে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন দেশ পরিচালনা করেছে, তারা তো চরম ধরণের ব্যর্থ ছিল। কিন্তু দেশকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানানোর ব্যাপারে এবং সরকারের সাথে হাওয়া ভবন খুলে সমান্তরাল একটি সরকার পরিচালনায় সফল ছিল। দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানানোর ক্ষেত্রে তারা সফল ছিল। পাঁচশ’ জায়গায় একযোগে বোমা হামলা, একুশে আগস্টে বোমা হামলা, আদালতের মধ্যে বোমা হামলা, বিচারককে বোমা মেরে হত্যা এগুলোর ব্যাপারে তারা খুব সফল ছিল। বাকি সব ব্যাপারে তারা ছিল ব্যর্থ। এই জন্য তারা সবকিছুতেই ব্যর্থতা দেখার চেষ্টা করে।’

দেশ যে আজকে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি বিএনপি দেখেও না দেখার ভান করে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা না দেখলেও, পৃথিবী কিন্তু দেখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সফলতার জন্য প্রশংসা করেছে, জাতিসংঘ প্রশংসা করেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন যেটি করার চেষ্টা করছে, সেটি হচ্ছে তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারের অনেক দূর এগিয়েছি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে আমাদের এ ব্যাপারে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে। সুতরাং এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নাই, একাগ্রতা আছে। রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে সেটি হবে। এটি বিএনপি বুঝেও না বুঝার ভান করে। অপ্রাসঙ্গিক হলেও এটিকে প্রাসঙ্গিক করার চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না, খড়কুটো ধরেই ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করছে।’

বেগম জিয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত বেগম খালেদা জিয়া জামিনে মুক্তি পাননি, আদালত কর্তৃক খালাসও পাননি। তাকে প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আইনগতভাবে তার শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন, পরে আবার ছয় মাসের জন্য এবং তৃতীয় দফা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। আমি মনে করি এতে সরকারকে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির একটা অভিনন্দন দেয়া প্রয়োজন ছিল। প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিকটা বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে তার শাস্তি ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু বিএনপি সেই ধন্যবাদ দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ধন্যবাদ দেয়ার সংস্কৃতিটা তারা লালন করে না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

যে কারণে নির্বাচন ও গণভোট একসাথে, থাকবে ৪ প্রশ্ন

ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে জাতীয় নির্বাচনের দিন একই দিনে গণভোট হবে অনুষ্ঠিত হবেবিস্তারিত পড়ুন

এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিবিস্তারিত পড়ুন

দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ ভারতে হামলার ছক বাংলাদেশেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
  • প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
  • সারাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সমাজসেবা কার্যালয় কাজ করছে: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন
  • গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব, যেসব সুবিধা পাবেন