‘নেতিবাচক গোয়েন্দা প্রতিবেদন’ আসা নিউজ পোর্টাল প্রয়োজনে বন্ধ: তথ্যমন্ত্রী
ইন্টারনেটভিত্তিক সংবামাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়ায় যেসব নিউজ পোর্টাল নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে ‘নেতিবাচক প্রতিবেদন’ পাওয়া যাবে, প্রয়োজনে সরকার সেগুলো বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার সচিবালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “অনলাইনগুলোর ব্যাপারে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৭ শর মত তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি। আরেকটি সংস্থা থেকেও একশর মতো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।”
এ মাসের মধ্যে আরও তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে জানিয়ে হাছান বলেন, সেসব প্রতিবেদন সাপেক্ষে চলতি জুলাই মাস থেকেই অনলাইন সংবাদমাধ্যমের নিবন্ধন দেওয়া শুরু হবে।
“যেসব অনলাইনের ব্যাপারে নেগেটিভ প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলো আরেকটু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব, প্রয়োজনে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
গুজব ছড়ানোর সঙ্গে জড়িত অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল ‘চিহ্নিত হয়ে আছে’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এ সমস্ত অনলাইন পোর্টাল ক্ষণে ক্ষণে পরিচয় পরিবর্তন করে। অনেক সময় বিদেশ থেকেও অনেকে এগুলো পরিচালনা করেন।
“সেগুলোর ব্যাপারে প্রযুক্তিগত কিছু পদক্ষেপ মাঝে মাঝে নেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে আরও দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং ভবিষ্যতে যে অনলাইনের মাধ্যমে গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়ার পর আবেদন চেয়েছিল সরকার, এখন সেসব আবেদন যাচাই-বাছাই চলছে। সরকারি নিবন্ধন পাওয়া নিউজ পোর্টালগুলো তখন সরকারি সুবিধাও পাবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ল্যাপটপ নিয়ে দুই/তিন জন মিলে বসে একটা অনলাইন খুলে বসবে এটা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। আগামীতে আবেদনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দিলে তারা ডোমেইন বরাদ্দ পাবে।”
চিকিৎসার নামে জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, “সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে প্রেপ্তার করেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে, বিএনপি যে ক্রমাগত অবান্তর করা বলে, সেটারই ধারাবাহিকতায় সাহেদ নিয়েও তারা নানা অবান্তর কথা বলেছে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ নিয়ে এক প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, “বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার একটি অংশ, বিক্ষোভ যে কারো বিরুদ্ধে হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।
রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করার আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ছিল বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সেখানে কিছু ঘাটতি ছিল বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। সেখানে যদি সতর্কতা অবলম্বন করা হত তাহলে সাহেদের রিজেন্ট ও জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠান কাজ করার সুযোগ পেত না।”
সূত্র: বিডি নিউজ২৪ ডটকম
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)