নড়াইলে জাল দলিলের মাধ্যমে এক অসহায় নারীকে ঘরছাড়া করার পায়তারা!
নড়াইলে জাল দলিল তৈরি করে এক অসহায়, দরিদ্র নারীর ভিটাবাড়ি দখলপূর্বক তাকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে মোঃ মারফুদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। অভিযুক্ত মারফুদুল নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন আলাদাতপুর গ্রামের সুলতান আহম্মদ খানের ছেলে। আর ভুক্তভোগী নারী একই উপজেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মোল্যার মেয়ে মোসাঃ জোসনা খাতুন।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এবং তিনি বিভিন্ন মাজারে থাকেন। দুই সন্তান নিয়ে ওই নারীর সংসার চালানোর কোনো উপায় না থাকায় তিনি তার ছোট ভাই মোঃ পলাশ মোল্যাকে সাথে নিয়ে রূপগঞ্জ বাজারে প্রায় ১০ বছর পূর্বে গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তার ভাই পারিবারিক সমস্যার কারণে কয়েক বছর পর এ ব্যবসা ছেড়ে ঢাকাতে চলে যান। এ সময় তিনি একা হয়ে যাওয়ার সুবাদে অনেকেই তার এই ব্যবসাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার উপার্জনের একমাত্র উৎস দোকানটিকে তিনি কোনোভাবেই অন্যের নিকট হস্তান্তর করতে রাজি হননি।
গার্মেন্টেসের ব্যবসা চলাকালে যশোরের কালেক্টরেট মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইমরাতের সাথে জোসনা ও তার ভাই পলাশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমারতের নিকট থেকে বাকিতে লেনদেনের জন্য তারা তাকে একটি সই করা চেক ও ফাঁকা স্ট্যাম্প প্রদান করে।
অভিযুক্ত মারফুদুলও ইমারতের নিকট থেকে মাল ক্রয় করতো। পলাশের অনুপস্থিতির কথা জানতে পেরে সে তাদের দোকানটা দখল করার জন্য ইমারতের সাথে গোপন চুক্তি করে। কিন্তু জোসনা খাতুনের নিকট থেকে ইতোমধ্যে দোকানটা হাতছাড়া হয়ে যায়। তখন মারফুদুলের চোখ পড়ে ভুক্তভোগীর বসতভিটার উপর। সে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইমারতের নিকট থেকে চেক ও স্ট্যাম্প সংগ্রহ করে জোসনার বসতভিটার জমি জাল দলিল করে নেয়।
জাল দলিলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী জোসনার বসতভিটার জমি হারিয়ে যাবার শংকায় তিনি বিভিন্ন মহলে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো সুফল হয়নি। পরবতর্ীতে তিনি কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি আদালত, নড়াইলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত মারফুদুল ভুক্তভোগীর জায়গা দখল করার জন্য মাঝে মাঝে সন্ত্রাসী বাহিনীও পাঠাচ্ছে। এতে করে চরমভাবে জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জোসনা খাতুন ও তার ভাই পলাশ। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য তিনি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)