সোমবার, অক্টোবর ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

নড়াইল বাস টার্মিনাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত

নড়াইল পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র আঞ্জুমান আরা দায়িত্ব পাওয়ার আগেই নড়াইল বাস টার্মিনালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা সরেজমিন পরিদর্শন করলেন। দুপুরে নড়াইল বাস টার্মিনালের সামনে থাকা ময়লার ভাগাড়, টার্মিনালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, টার্মিনাল ভবন, পৌরসভার নষ্ট হয়ে যাওয়া ৪টি ট্রাক, ১টি স্কেভেটর ও একটি জীপ গাড়িসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং সমস্যা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সাথে জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবুল সাহা, বাস-মিনিবাস শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন প্রমুখ। জানা গেছে, ২০০৩ সালে নির্মিত নড়াইল বাস টার্মিনাল থেকে ৬টি রুটের কোনোটিতেই গত ১৫ বছর ধরে যাত্রীবাহী বাস ছাড়া হয়না। টার্মিনালের মূল ভবনের বিভিন্ন দেয়ালে ফাটল ধরেছে। জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে। দীর্ঘদিন রং না করায় ভবনটিও বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে নিরাপত্তা ভাল্বসহ বিভিন্ন লাইট পোষ্ট। গাড়ি পরিস্কারের জায়গা থাকলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এছাড়া নড়াইল পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কোনো জায়গা না থাকায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শহরের প্রবেশ মুখে বাস টার্মিনালের সামনে পৌরসভার নিত্যদিনের সমস্ত বর্জ্য ফেলা হয়। ফলে ওই এলাকার পরিবেশ ভীষণভাবে দূষিত হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি অব্যবহৃত থাকায় এটির ব্যবহারও সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টার্মিনালে এখন ট্রাকে বালু বেচা-কেনা হয় এবং সামান্য কিছু বাস-ট্রাক, স্কেভেটর পার্কিং করে রাখা হয়। এছাড়া নড়াইল পৌরসভার ৪টি ট্রাক, ১টি জীপ গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে এবং ১টি স্কেভেটরের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক নেতা বলেন, একটি মহল চায় না টার্মিনালটি সঠিকভাবে ব্যবহার হোক। প্রভাবশালী এ মহলটি ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করছে বাস টার্মিনালটি। এদিকে বাস টার্মিনাল থেকে বাস না ছাড়ায় শহরে যত্রতত্র বাস পার্কিং, যাত্রী ওঠা-নামা করা, ট্রাক ও অনুমোদনহীন ইজিবাইক-ইজিভ্যান, নসিমন-করিমন চলাচল করায় শহরের ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। গোটা শহরই যেন এখন বাস টার্মিনাল। শহরের পাশ দিয়ে একটি বাইপাস সড়ক থাকলেও তা ব্যবহার না করে শহরের মধ্যদিয়ে চলাচল করছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। নড়াইল পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আনজুমান আরা বলেন, বাস টার্মিনালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং সমস্যা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি। ময়লা ফেলার জন্য নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে বসে একটি সমাধান করতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অপরদিকে নড়াইল বাস টার্মিনাল চত্বরে ময়লার দুর্গন্ধে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে। ময়লার দুর্গন্ধে স্থানীয়রা যেমনি চরম দুর্ভোগে শহরের প্রাণকেন্দ্র রূপগঞ্জের পাশেই নড়াইল-যশোর সড়ক ঘেঁষে কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল। ওই সড়কটি এশিয়ান হাইওয়েরও অংশ। প্রতিদিন এখান থেকে শত শত যানবাহনে হাজারো যাত্রী যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। এছাড়া ব্যবসায়িক কারণেও এই স্থানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ এই টার্মিনালের সামনের চত্বরে আছে ছোট্ট একটি ডো’বা। দীর্ঘদিন থেকে ওই ডোবায় ফেলা হয় আবর্জনা। ডো’বা ছাপিয়ে এখন টার্মিনাল চত্বর থেকে সড়ক পর্যন্ত ময়লা-আবর্জনার ভা’গাড়ে পরিণত হয়েছে। যে কারণে উম্মুক্তভাবে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। এ ময়লার দুর্গন্ধে স্থানীয়রা যেমনি চরম দুর্ভোগে, তেমনি বিড়ম্বনায় প’ড়ছেন হাজারো পথচারী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাস টার্মিনাল চত্বর ও তার আশপাশ জুড়ে ময়’লার একটি বিশাল স্তু’প পড়ে আছে। নড়াইল জেলা শহরের একমাত্র ময়’লার ভা’গাড় এটি। শহরের বাসাবাড়ি ও সবগুলো বাজারের সবধরনের আব’র্জনা, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে। এখন থেকে ছড়াচ্ছে প্রচ’ন্ড দুর্গন্ধ। এলাকার পরিবশেটাই এখন দুর্গন্ধময়। যাত্রী ও পথচারীরা এখান দিয়ে চলা-চল করেন না’ক চেপে। স্থানীয় লোকজনের না’ভিশ্বাস অবস্থা। বিশেষ করে, পথটি অতিক্রম করার সময় শি’শুদেরকে বেশি ক’ষ্ট করতে হয়।টার্মিনাল ঘিরে গড়ে উঠেছে গাড়ি ও যন্ত্রাংশ মেরামতের কারখানা। দুর্গন্ধের কারণে এ কারখানার কর্মীরা না’কে ও মুখে গামছা বা মাস্ক বেঁধে কাজ করেন। আছে আরো কিছু দোকান। দুর্গন্ধের ফলে সেখানে থাকতে পারেন না পথচারী, যাত্রী বা স্থানীয় লোকজন। এমনকি দুর্গন্ধ ঠে’কাতে টার্মিনালের দোতলায় শ্রমিক কার্যালয়ের দরজা-জানালা বন্ধ করে বসেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রায় চার বছর ধরে এখানে শহরের ময়লা ফেলা হচ্ছে। শহরে আর কোনো বিকল্প ভাগাড় নেই। নড়াইল সদর পৌরসভার ময়লাগুলো এনে রাস্তার পাশেই ফেলে চলে যায়। পৌরসভা এলাকার প্রতিদিনের ময়লার রাখতে রাখতে ময়লার বিশাল স্তুপ হয়ে উঠেছে। এতে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছ’ড়িয়ে প’ড়েছে। এখানে অবস্থানকারীরা মাঝে মাঝেই অসুস্থ হচ্ছেন। দ্বিতল ভবন তৈরি করে ২০০৪ সালে এ বাস টার্মিনাল চালু হয়। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আন্দোলনরত শিক্ষকরা এখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন, আশা শিক্ষা উপদেষ্টার

বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) ঘোষণার পরবিস্তারিত পড়ুন

ক্ষমা চাওয়ার আহ্বানকে স্বাগত, বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে: সালাহউদ্দিন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাটবিস্তারিত পড়ুন

‘কার্গো ভিলেজে আগুন পোশাক ‎শিল্পের জন্য বড় ক্ষতি’

‎ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনা পোশাক শিল্পেরবিস্তারিত পড়ুন

  • গাজীপুরে বিএনপি নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় রিসোর্ট বন্ধ কেন্দ্রীয় নেতার মধ্যস্থতায় চলছিল এক বছর
  • প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের
  • যে কারণে সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে বললেন নাহিদ
  • ঢাকা বিমানবন্দরে আগুন, ফ্লাইট নামছে চট্টগ্রাম সিলেট কলকাতায়
  • জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগে ভাঙচুর-আগুন, ৯০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • শাহজালাল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩৬ ইউনিট
  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিবিদেরা
  • সংসদ ভবন ঘিরে সতর্ক অবস্থান নিরাপত্তা বাহিনীর
  • জুলাই সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি এনসিপি
  • জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
  • যশোরের শার্শায় ভ্যানচালক আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-৩
  • নেত্রকোনার মদনে বন্ধুর প্রতিশ্রুতি রক্ষায় নিজে বাসর ঘরে’ বন্ধুকে দিয়ে বাসর