প্রধানমন্ত্রীর ৫ ম্যাজিকে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা বাংলাদেশ
আইএমএফ প্রক্ষেপণ করেছে যে, চলতি বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বে যে দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে ভালো অগ্রগতি করবে সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সেরা রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতেই নয়, সুশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সকল সূচকেই বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিকের কারণে। তিনি গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার ফলে এটি সম্ভব হয়েছে, বলে মনে করা হচ্ছে। এটি মনে করছেন ভারতীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে আইএমএফর এমন প্রক্ষেপণে প্রতিবেশি ভারতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেখানকার গণমাধ্যমের আলোচনায় ভারত-বাংলাদেশের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের পর মনে করা হতো, তলাবিহীন ঝুড়ি। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংক বলেছিল যে, বাংলাদেশে যদি উন্নয়ন হয় এবং বাংলাদেশ যদি অর্থনীতিতে ভালো করে; তাহলে পৃথিবীর যে কোন দেশই ভালো করবে। আর এই অনুমানকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে অনুকরণীয়।
বাংলাদেশের এই সাফল্যের ম্যাজিক কি সেই উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এবং জনগণের তার প্রতি আস্থা এই দুটির সমন্বয়ে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে সফল দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তবে বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে যে কারণগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে গত কয়েক দিনের আন্তর্জাতিক আলোচনায় তারমধ্যে রয়েছে-
১. জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ
শেখ হাসিনার রাজনীতির একটি বড় বৈশিষ্ট হল জনসম্পৃক্ততা এবং জনগণের আকাঙ্ক্ষা তিনি ধারণ করতে পারেন। তিনি জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারেন। আর এই কারণে বাংলাদেশে গত এক যুগে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো হয়েছে তার সবই জনকল্যাণে এবং জনগণ তার সুফল সরাসরি ভোগ করেছে। এখন বাংলাদেশে যে, বড় বড় উন্নয়ন কাজগুলো হচ্ছে তার সবই সাধারণ মানুষ এবং প্রান্তিক জনগণের সুবিধার জন্য। পদ্মা সেতুর কথাই যদি ধরা যায়, এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশী লাভবান হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেমন উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, বড় বড় স্থাপনা, অফিস করেছে বিলাসিতার কাজে; সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় বড় সবগুলো প্রকল্প নিয়েছেন তৃণমূলকে মাথায় রেখে; যার ফলে জনকল্যাণমুখী উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে।
২. খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উন্নয়ন নীতিতে কৃষিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখেছেন। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কৌশলটি সারা বিশ্বে এখন সমাদৃত হচ্ছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকে খাদ্য ঘাটতি না দেখা দেয়, সে ব্যাপারে শুরু থেকেই সচেতন ছিলেন। এজন্য কৃষিতে যেমন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে, তেমনি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে কারণেই বাংলাদেশ খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
৩. নারীর ক্ষমতায়ন
বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার একটি বড় দিক হল নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে এনেছেন। নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ফলে তার প্রভাব অর্থনীতি এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পড়েছে। এটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
৪. জনস্বাস্থ্য
শেখ হাসিনা প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক চিন্তা আজ সারা বিশ্বে একটি মডেল। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে গেছে। এর ফলে মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে, শিশু মৃত্যুর কমেছে, মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে এবং নবজাতকের সুস্থতার হার বেড়েছে। এটি একটি দূরদর্শী রাজনীতির ফসল বলেই মনে করছেন।
৫. শিক্ষার গুরুত্ব
একদম প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে বই এবং বিনা মূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করে শেখ হাসিনা। এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। যার ফলে বাংলাদেশে শিক্ষার হার অনেক বাড়ছে এবং এটি সার্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। একটি দেশ এগিয়ে যায় শুধু দালান-কোঠার উপরে নির্ভর করে না, দেশ এগিয়ে যায় জনগণের জীবনযাত্রার মানের উপর ভিত্তি করে। শেখ হাসিনার সেই জনকল্যাণমুখী নীতি আদর্শের কারণেই বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সেরা দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)