শুক্রবার, মার্চ ৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

প্রেমের সালিশে গিয়ে চেয়ারম্যানের বিয়ে: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে

কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সালিশ করতে গিয়ে তাকে বিয়ে করে ফেলা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি না, তা তদন্ত করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে ‘বাল্যবিবাহ’ ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়।

আর পুরো ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ ঘটেছে কি না তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করতে বলেন আদালত।

এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিষয়ে পিবিআই ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের (ডিসির) প্রতিবেদন আদালতে এসেছে।

প্রতিবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

সাবেক দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও একরামুল হক টুটুল বিষয়টি নজরে আনলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ গত বছরের ২৭ জুন স্বঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।

২০২০ সালের ২৭ জুন প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া দুই কিশোর-কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিশে কিশোরীকে চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করেন।

ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন তিনি।

বিষয়টি জানার পর কিশোরীর বাবা ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন হাওলাদারের (৬০) কাছে নালিশ করলে তিনি সালিশ ডাকেন।

বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পিএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী মেয়েটির জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল।

বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দেয়। ওই কিশোরীর বাবাও ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিয়ে দেওয়া কথা সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন।

তবে বিয়ে যিনি পড়িয়েছিলেন, তার মাধ্যমেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাড়ি ফিরে যান সেই কিশোরী।

তালাকের পর ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যানের সালিশে গিয়েছিলাম পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে। কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।

বিয়ে ও তালাকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে শাহীন হাওলাদার বলেন, সালিশে মেয়ের বাবা কোনোভাবেই মেয়ের পছন্দের ছেলের কাছে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। তাই তাদের সম্মতিতে কাজি ডেকে মেয়েটিকে বিয়ে করেছিলাম।

২০২০ সালের ২১ জুন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন শাহীন হাওলাদার। প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে তার।

একই রকম সংবাদ সমূহ

সাতক্ষীরার পাকাপুল মোড়ে দেছার আলীর হোটেলে ভাংচুর, থানায় অভিযোগ

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের পাকাপোল মোড় এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ক্যান্টিনের মালিক দেছারবিস্তারিত পড়ুন

কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা

মো: আবু বক্কর সিদ্দিক, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা): পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জবিস্তারিত পড়ুন

দেবহাটায় ইফতার বাবদ নগত অর্থ উপহার প্রদান

দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে গরিব অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বাবদবিস্তারিত পড়ুন

  • দেবহাটার সখিপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা আদায়
  • দেবহাটার সখিপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা
  • তালার খলিলনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় জাতীয় পাট দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরায় সহকারী শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানী, প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন
  • মনিরামপুরের খেদাপাড়ায় তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড, ব্যবস্থাপক দগ্ধ
  • সাতক্ষীরার নলকুড়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন
  • আরো ৭৭২ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’র তালিকার গেজেট প্রকাশ
  • বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে নির্বাচন কঠিন: নাহিদ ইসলাম
  • ৬০০ কোটির নির্বাচন ২৩৮৬ কোটিতে
  • মনিরামপুরে গোয়ালের তালা ভেঙ্গে বিধবা নারীর ৬ গরু চুরি
  • তালার খেশরা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে সাবেক সাংসদ