বইমেলার বিষয়ে অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং মেলা স্থগিত হতে পারে এমন তথ্য জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলা একাডেমিতে বইমেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এবার ফেব্রুয়ারিতে মেলা করা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্চে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে আবারো দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে, মেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো যদি পরিবেশ-পরিস্থিতি না থাকে তবে অপ্রিয় সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আগে জীবন। যদি কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মেলা চালানোর মতো আর সুযোগ না থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। মহামারিকে আমন্ত্রণ জানানো যাবে না। সেক্ষেত্রে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তখন অপ্রিয় হলেও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি যেন সে পর্যায়ে না যায় সেটাই সবার চাওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বইমেলা ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৮ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি মেলার উদ্বোধন করবেন।
ওইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটির অনুবাদ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করার কথা রয়েছে তার।
এবারের মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৩৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এবারো শিশুচত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই থাকবে তবে করোনার জন্য ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে না। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৪টায় মেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া মাসব্যাপী প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বইমেলার এবারের আসরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, মেলার চারপাশ এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকবে। মোবাইল পেট্রোলের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপর থাকবে বলেও জানান তিনি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)