শুক্রবার, আগস্ট ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বিডিআর বিদ্রোহ : সেদিন সেনাকুঞ্জে হাসিনাকে জুতা ছুড়ে মারেন সেনা অফিসাররা

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা। এ হত্যাকাণ্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সেনাকুঞ্জে যান। সেই সময় তার সঙ্গে যা ঘটে তার বর্ণনা দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আমিন।

গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে সেই দিনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি।

সেনা কর্মকর্তা আমিন বলেন, ‘১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) আসছেন সেনাকুঞ্জে। ১০০০-১৫০০ কমান্ডো; কোয়ালিফাইড অফিসার। প্রত্যেকটা অফিসার কমান্ডো করা। উত্তেজিত অফিসার, রক্ত টগবগ করছে। আমরা তখন জেনারেল হয়ে গেছি। একটু আমাদের রক্ত টগবগ কমে গেছে। মানে এই উত্তেজিত অফিসারকে ঠান্ডা করা- টগবগ করতেছে তাদের কী যে কষ্টের ব্যাপার ছিল এটা কল্পনাও করা যায় না। আমরা আর ঘুমাতে পারতাম না। এদের মধ্যে সাহারা খাতুন আসতে চান। অফিসাররা বললেন, সাহারা খাতুন থাকতে পারবেন না। এদের মধ্যে ফারুক খান আসতে চান। অফিসাররা বললেন না, উনি থাকতে পারবেন না। তারপর শুধু কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে অ্যালাউ করলেন অফিসাররা আর জেনারেল তারিক ছিলেন, আর কোনো সিভিলিয়ান ছিল না। কাউকে অ্যালাউ করা হয়নি, এগুলোকে ম্যানেজ করা খুবই কঠিন অবস্থা ছিল’।

ওইদিনের ঘটনা বর্ণনা করে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমিন আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আসলেন, বক্তৃতা শুরু করলেন। কিছুক্ষণ বলার পর অফিসাররা উত্তেজিত হয়ে গেলেন। পয়েন্টে পয়েন্টে বলা হলো বলা হচ্ছে। এক পর্যায়ে অফিসাররা উত্তেজিত হয়ে গেলেন। ১০০০ অফিসার; বিশাল বোর্ড অডিটোরিয়াম; সেনাকুঞ্জ; সব অফিসার এই পর্যন্ত চলে আসেন। এতটাই কাছাকাছি চলে আসছেন সবাই- সেই সময় যেকোনো অঘটন ঘটে যেতে পারত। এসএসএফ উনাকে ঘিরে ফেলেছে; উনাকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে; এসএসএফের কয়টা অফিসার- ২০টা অফিসার ৩০টা অফিসার; কী করতে পারবে ১০০০ কমান্ডো; কোয়ালিফায়েড মেজর এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল রক্ত তাদের টগবগ করছে। তারা চেয়ার ছুড়ে ছুড়ে মারছিল; জুতা ছুড়ে ছুড়ে মারছিল প্রধানমন্ত্রীর সামনে। সেনাপ্রধান পেছনে একরকম মুখ লাগিয়ে ছিলেন। শুধু বললেন- জেনারেলরা তোমরা এই অবস্থা টেকওভার করো- জেনারেলস টেকওভার। কেমন করে সামাল দেব; এরা তো কথা শুনতেছে না, কী করব; মুশকিল; একটা অঘটন তো ঘটে যেতে পারে যেকোনো সময়। এটা ইতিহাস ভাই- আমাকে ইয়ে করেন না; আমি যেটা হয়েছে সেটাই বলছি। নির্মোহ ইতিহাস বলার চেষ্টা করতেছি আমি। যেটা দেখেছি- আমি নিজের সাক্ষীতে বলছি।

তিনি বলেন, আমি যেটা দেখেছি সেটা বলেছি; বলতেছি। আশা করি, আমি সত্য বলার চেষ্টা করছি; যখন প্রথমে একদল জেনারেল ঘুরে আসলেন, মোটামুটি তারা শান্ত হলেন; শান্ত তারা হচ্ছেন না। আমি তখন দেখলাম- আমি এবং একজন না দুজন আমরা জেনারেল দাঁড়ালাম; আবার ঘুরলাম; তারা যখন এখানে চলে আসছেন; সামনে মাঝামাঝি পথে দাঁড়িয়ে গেলাম; বললাম- না, তোমরা এখানে লাইন ক্রস করতে পারবা না। যাক আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া আদায় করছি, কোনো অঘটন ঘটে নাই। অফিসাররা ঠান্ডা হলেন, কথা শুনলেন এবং তারপর দিন জানাজা হলো।
সূত্র: যুগান্তর

একই রকম সংবাদ সমূহ

কারও কারও আচরণে বিএনপির বিজয় ঠেকানোর প্রবণতা : তারেক রহমান

রাজপথের সহযোদ্ধা কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীর আচরণে পলাতক স্বৈরাচারের সরকারের মতোবিস্তারিত পড়ুন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে সমস্যা নেই তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনবিস্তারিত পড়ুন

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশে ‘একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে’ বলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

  • পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ
  • বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা
  • চা কফি খাওয়াতে পারবেন না ডাকসু প্রার্থীরা
  • আশুলিয়ায় ছয়জনের লা*শ পোড়ানোর ঘটনায় রাজসাক্ষী হলেন সাবেক এসআই আবজালুল হক
  • সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রশাসনের বাইরে বঞ্চিত ৭৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ
  • গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি, সুষ্ঠু নির্বাচন এখনো নিশ্চিত নয়: রিজভী
  • গুলিবিদ্ধ ১৬৭ জনের অনেকেরই মাথার খুলি ছিল না
  • ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ
  • সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিলো ছাত্রদল
  • ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের