রাজগঞ্জের ঝাঁপায় হাজী বিরিয়ানী খেয়ে এক মাদ্রাসার ৫৩জন ছাত্রসহ প্রায় শতাধিক মানুষ অসুস্থ
মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারের হাজী বিরিয়ানী হাউজের বিরিয়ানী খেয়ে ঝাঁপা দক্ষিণপাড়া হাফিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার ৫৩জন ছাত্রসহ ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরা সবাই স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি-২০২২) দিবাগত রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।
এ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান- এ মাদ্রাসার সকল ছাত্ররা মাদ্রাসাতেই থাকে।
স্থানীয় মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মনিরুজ্জামান তার দাদির স্মরণে ওই মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে এদিন দুপুরে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। রাজগঞ্জ বাজারের হাজী বিরিয়ানী হাউজ থেকে নেওয়া বিরিয়ানী, মিলাদ মাহফিল শেষে ওই মাদ্রাসার প্রত্যেক ছাত্রকে এক প্যাকেট করে দেওয়া হয় এবং তারা সেই বিরিয়ানী খায়। একপর্যায় এদিন দিবাগত রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে মাদ্রাসার সকলেই পেটের নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাদের পায়খানা শুরু হয়। তিনি বলেন- পায়খানা এমন পর্যায় শুরু হয়েছে, অনেকেই বাথরুমে যাওয়ার সময় পায়নি। কাপড়ে পায়খানা হয়েগেছে। পরবর্তীতে রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি-২০২২) সকালে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান মিলনের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই সুস্থ্য হয়েছে এবং অনেকে এখনো অসুস্থ রয়েছে। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই খাবার খেয়ে ডায়রিয়া রোগে মারাত্মক অসুস্থ হয় ওই মাদ্রাসার প্রথম হাফেজ মো. আইয়ুব হোসেন (১৫)।
তার পিতা মো. লোকমান হোসেন (৫৫) সহ পরিবারের সবাই এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়াও স্থানীয় মো. আবু সাইদ (৫০), মো. ফারুক হোসেন (৫২)সহ কয়েকজন অভিভাবক এই বিরিয়ানী খায় এবং তারাও পেটের নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত মাদ্রাসা ছাত্ররা বলেন- রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে আমাদের পেটে ব্যাথাসহ পেটের মধ্যে ভাটভুট শুরু হয় এবং পায়খানা শুরু হয়। এই রাতে কতোবার পায়খানা হয়েছে তা আমাদের হিসেব নেই। এ রোগে আক্রান্ত সকল ছাত্রদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। মিলাদ মাহফিলের আয়োজক প্রবাসী মো. মহিরুজ্জামান বলেন- এই খাবার খেয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররাসহ আমার বাড়ির সদস্যদেরও পেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সবারই পাতলা পায়খানা হয়েছে। আমি এঘটনা হাজী বিরিয়ানি হাউজের মালিককে জানিয়েছি। হাজী বিরিয়ানী হাউজের মালিক পারভেজ এবিষয়ে বলেন- আমি বিরিয়ানী প্যাকেট করে দিছি সকালে, ওরা খায়ছে তিনটার দিকে। ওদের ভুলের কারণে এই ঘটনা হয়ছে।
ওই মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম বলেন- স্থানীয় মহল্লাবাসিরা মিলে এই মাদ্রাসা স্থাপন করেছি। এখানে বহু ছেলেরা কুরআন হাদিসের শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করছে। এই ছাত্রদের কোনো অসুবিধা হলে আমাদের দেখার দায়িত্ব। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান মিলন বলেন- ওই ছাত্রদের ডায়রিয়া হয়েছিলো। খাদ্যে ফুড ফয়জনিং-এর কারণে এ সমস্যা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)