সোমবার, জুলাই ৭, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসতে শীর্ষ দূর্ণীতিবাজ প্রদীপ মন্ডলের দৌঁড়ঝাপ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল বর্তমানে সাতক্ষীরা পিটিআইতে সংযুক্ত আছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি পিটিআইতে থেকে সন্তুষ্ঠ না। তাইতো তিনি সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের দ্বারে দ্বারে শুরু করেছেন দৌঁড়ঝাপ। তবে প্রদীপ কুমার মন্ডল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন সংবাদে ক্ষোভ বিরাজ করছে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মাঝে। এমনকি খোদ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত অনেকেই রয়েছেন আতঙ্কে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০০ সালে উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হিসেবে সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় যোগদান করেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। বিভিন্ন উপজেলায় চাকুরী করে ২০০৮ সালে বদলী হয়ে আসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। এরপর থেকে তিনি শুরু করেন নিয়োগ বানিজ্য, বদলী বানিজ্য, ডেপুটেশন, পিএসআরএলও বানিজ্য।

ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিকবার তদন্ত করে তার অপকর্মের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এরপর ২০১৮ সালে তাকে বদলী করা হয় শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। সেখানে যেয়েও তার ওই সকল অপকর্ম থেমে থাকেনি। বরং কারণে অকারণে মাসের পর মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে তুলেছেন বেতন। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললেই তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার ষড়যন্ত্র শুরু করেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। ফলে তার বিরুদ্ধে একাধিকবার শোকজ করেও কোন প্রতিকার হয়নি। বরং অজানা কারণে রক্ষা পেতেন প্রদীপ কুমার মন্ডল।

আরো জানা যায়, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারী থেকে ২ আগস্ট ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার কারণে আগামী দুই বছরের জন্য তার মূল বেতন ২৭ হাজার ৪৩০ টাকা থেকে অবনমিতকরণ করে ১৬ হাজার টাকা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর তাকে সংযুক্ত করা হয় সাতক্ষীরা পিটিআইতে। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভেতরেই পিটিআই এর অবস্থান থাকলেও প্রদীপ বাবু জেলা শিক্ষা অফিসের আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র দাবী করেছেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসার জন্য প্রদীপ কুমার মন্ডল নানাভাবে তদবীর শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি কয়েকজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে ডিও লেটার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তিনি যখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ছিলেন তখন অফিসটাকে দূর্ণীতির আখড়ায় পরিণত করেছিলেন।

আবারও যদি তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আসেন তবে এই অফিসটাকে দূর্ণীতির আঁতুরঘরে পরিণত হবে। সীমাহীন হয়রানির শিকার হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ঠরা। সুতরাং তিনি যাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে না আসতে পারেন সেজন্য তার বিরুদ্ধে সকলের রুখে দাঁড়ানো উচিৎ।

এ ব্যাপারে জানার জন্য প্রদীপ কুমার মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ার ইক্বরা চাইল্ড ক্যাডেট একাডেমিতে হিফজ বিভাগের উদ্বোধন

কলারোয়ার ইক্বরা চাইল্ড ক্যাডেট একাডেমিতে নতুন ভাবে পথচলা শুরু করলো হিফজ বিভাগ।বিস্তারিত পড়ুন

ভোমরা বন্দরে বেড়েছে শুকনা হলুদের আমদানি, বাজারে কমেছে দাম

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে শুকনা হলুদের আমদানি বেড়েছেবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রবিস্তারিত পড়ুন

  • লাগামহীন লুটপাট আ.লীগ আমলের বড় নিদর্শন: উপদেষ্টা আসিফ
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : পরীক্ষায় নকল করলেই ৪ বছর নিষিদ্ধ
  • বিএনপিকে ‘সংস্কারবিরোধী’ বলে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে- মির্জা ফখরুল
  • দুর্নীতির সমস্যা চিরতরে দূর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
  • বাংলাদেশে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • মহররম ও আশুরার শিক্ষা-তাৎপর্য
  • ‘রাজনৈতিক দলের প্রভাব যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে বিনষ্ট করতে না পারে’
  • সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
  • দুর্নীতির সমস্যা চিরতরে দূর করতে হবে: নাহিদ ইসলাম
  • ১২টি ছাড়া বিএনপির নামের সব সংগঠন অবৈধ
  • রাজনীতি করতে চাই দেশের স্বার্থে: আখতার হোসেন
  • ‘ওড়না কেড়ে নিয়ে হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতো, আর বলতো এখন পর্দা ছুটে গেছে’