এবার এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অটোপাস না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সরকার। চলতি বছরের মধ্যেই এ পরীক্ষা নিতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। এজন্য করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতবছর অটোপাস দেওয়া হলেও এবার সে পথে যেতে চায় না শিক্ষা বোর্ডগুলো।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, এ বছর এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা না নিয়ে গ্রেড পয়েন্ট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর বিশেষ পরিস্থিতিতে পূর্ববর্তী দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়। এতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ ফেব্রুয়ারি। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সাধারণত নেওয়া হয় ১ এপ্রিল থেকে। তবে করোনার কারণে গত বছর থেকে সব শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। এখন এ দুটি পাবলিক পরীক্ষার লাখ লাখ শিক্ষার্থী কখন কী প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা দিতে পারবে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর প্রায় ২২ লাখ এসএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া ১৫ লাখ এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে। এ পরীক্ষার আগে এসএসসির জন্য ৬০ দিনের ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আরও ১৫ দিন পর পরীক্ষা হবে। এইচএসসির ক্ষেত্রেও ৮০দিন ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল এবার প্রস্তুত করার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত পাঠক্রম সরবরাহ করেছি। স্কুল-কলেজ পুনরায় চালু হলে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের ৬০ ও ৮০ দিন ক্লাস হবে।’ তবে স্কুল ও কলেজ চালুর বিষয়টি করোনা মহামারীর ওপর নির্ভরশীল বলে জানান তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]