বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অপশক্তি সুকৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর ঢুকে পড়েছে

‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধারা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি। এক যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও অপশক্তি সুকৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর ঢুকে পড়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা জানান, কিছু দিন পরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।

সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু যখন জাতীয় পরিষদে সংবিধান পেশ করেন, তখন স্পষ্টভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হিন্দুরা হিন্দুধর্ম পালন করতে পারবেন, খ্রিস্টানরা খ্রিস্টধর্ম পালন করবেন। মুসলমানরা ইসলাম ধর্ম পালন করবেন। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে পারবেন না। এখন ৫০ বছর পর দাঁড়িয়ে কী বলবেন, সেই কথা কি রাখা গেছে?

সারওয়ার আলী বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে অন্তত যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তাতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর যে ভাবাদর্শের রাষ্ট্র, আমরা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি, তাঁরা যে ভাবধারার রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছি, সেখান থেকে রাষ্ট্রটি পথভ্রষ্ট হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘বিগত এক যুগ ধরে রামু থেকে নাসিরনগর, সুনামগঞ্জ হয়ে নড়াইল, প্রতিটা ঘটনার পেছনে আছে একটা মিথ্যাচার। প্রতিটা ঘটনার পেছনে আছে একটা সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য। তার মোকাবিলা করার জন্য যে শক্তি, তা আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আহরণ করতে পারি। সেই শক্তির অসাধারণ প্রকাশ তিনি তাঁর জীবন দিয়ে দেখিয়ে গেছেন।

মফিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব ধরনের ঘৃণা–বিদ্বেষ ছড়ানোর একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মকে অত্যন্ত বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনে আছে এবং আমাদের সংবিধানেও আছে সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। অপরের আদর্শ বা ধর্মকে চিহ্নিত করে কোনো রকম সামাজিক অশান্তি তৈরি করা যাবে না। মানুষকে সহিংসতার দিকে প্ররোচিত করা যাবে না। কিন্তু এই ঘটনাগুলো ঘটছে। আজ মিথ্যাচারের একটা ভিত্তি হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো ধরনের ধর্মীয় উসকানি দিতে না পারে, সে জন্য আইন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী প্রমুখ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বা বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারেরবিস্তারিত পড়ুন

  • আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ
  • হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ ১২ অক্টোবর, বাড়বে না সময়
  • পরিবর্তন চাইছে এশিয়ার ক্ষুব্ধ জেন-জি
  • ১০ ভোটও পাননি ২১ ভিপি প্রার্থী, যে যত ভোট পেলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে ১, ২ ও ৩টি করে ভোট পেলেন যারা
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
  • ঢাবির ইতিহাসে প্রথম ডাকসু নির্বাচনে জয়ী স্বামী-স্ত্রী
  • যে মতেরই হোক না, সবাই একসঙ্গে কাজ করবো: সাদিক কায়েম
  • ডাকসু নির্বাচনে কে কোন পদে জয়ী হলেন
  • ডাকসু নির্বাচনে সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দীন এজিএস নির্বাচিত
  • ডাকসু নির্বাচনে জয়ের পথে শিবিরের সাদিক কায়েম ও ফরহাদ
  • বয়স ১৬ হলেই পাওয়া যাবে এনআইডি