সোমবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

অপশক্তি সুকৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর ঢুকে পড়েছে

‌বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধারা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি। এক যুগ ধরে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও অপশক্তি সুকৌশলে রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর ঢুকে পড়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

বক্তারা জানান, কিছু দিন পরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হচ্ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।

সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী বলেন, ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু যখন জাতীয় পরিষদে সংবিধান পেশ করেন, তখন স্পষ্টভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হিন্দুরা হিন্দুধর্ম পালন করতে পারবেন, খ্রিস্টানরা খ্রিস্টধর্ম পালন করবেন। মুসলমানরা ইসলাম ধর্ম পালন করবেন। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কোনো রাজনীতি করতে পারবেন না। এখন ৫০ বছর পর দাঁড়িয়ে কী বলবেন, সেই কথা কি রাখা গেছে?

সারওয়ার আলী বলেন, ‘গত ১২ বছর ধরে অন্তত যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তাতে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর যে ভাবাদর্শের রাষ্ট্র, আমরা যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি, তাঁরা যে ভাবধারার রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছি, সেখান থেকে রাষ্ট্রটি পথভ্রষ্ট হয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘বিগত এক যুগ ধরে রামু থেকে নাসিরনগর, সুনামগঞ্জ হয়ে নড়াইল, প্রতিটা ঘটনার পেছনে আছে একটা মিথ্যাচার। প্রতিটা ঘটনার পেছনে আছে একটা সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য। তার মোকাবিলা করার জন্য যে শক্তি, তা আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আহরণ করতে পারি। সেই শক্তির অসাধারণ প্রকাশ তিনি তাঁর জীবন দিয়ে দেখিয়ে গেছেন।

মফিদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সব ধরনের ঘৃণা–বিদ্বেষ ছড়ানোর একটি বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মকে অত্যন্ত বিকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক আইনে আছে এবং আমাদের সংবিধানেও আছে সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। অপরের আদর্শ বা ধর্মকে চিহ্নিত করে কোনো রকম সামাজিক অশান্তি তৈরি করা যাবে না। মানুষকে সহিংসতার দিকে প্ররোচিত করা যাবে না। কিন্তু এই ঘটনাগুলো ঘটছে। আজ মিথ্যাচারের একটা ভিত্তি হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যেন কোনো ধরনের ধর্মীয় উসকানি দিতে না পারে, সে জন্য আইন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নির্বাহী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী প্রমুখ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

গুলশান এলাকার ভোটার হলেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবার গুলশান এলাকায় ভোটবিস্তারিত পড়ুন

ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, একা গিয়ে কী করব: সেফ এক্সিট প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজনীতিতে বহুল চর্চিত সেইফ এক্সিট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জাববে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্টবিস্তারিত পড়ুন

আমরা স্বাভাবিক এক্সিট চাই: ধর্ম উপদেষ্টা

নির্বাচিত সরকারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক এক্সিট চান বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীবিস্তারিত পড়ুন

  • সাধারণ কর্মী নিয়োগে প্রথমবার বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর
  • সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৩৩ হাজার কোটি টাকা
  • জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট চায় জামায়াত
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া নিয়ে সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়
  • প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্ন্যাপচ্যাটের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
  • সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে প্রধান শিক্ষকদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ
  • হজ প্যাকেজ ঘোষণা: সর্বনিম্ন ৪ লাখ ৬৭ হাজার টাকা
  • ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এল সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকা
  • গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, এখন নিজেরাই খেলব: প্রধান উপদেষ্টা
  • বর্তমান সিইসিকে সাবেক সিইসিদের পরিণতি স্মরণ করালেন সুশীলরা
  • নির্বাচনে কারও পক্ষে অন্যায়-বেআইনি নির্দেশনা দেবো না: সিইসি
  • জুলাই আন্দোলনের এক নম্বর কারণ পচা নির্বাচন: ইসি সানাউল্লাহ