অবশেষে কলারোয়া-গয়ড়া সড়কের মারাত্মক ভঙ্গুর স্থানগুলো সংস্কার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি নিজে উপস্থিত থেকে খোয়া ও বালি দিয়ে রাস্তার ভাঙা স্থানগুলো সংস্কার করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, কলারোয়ার থানা মোড়ের পাশ থেকে গয়ড়া তথা চন্দনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা। উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ন ও ব্যস্ততম স্থানীয় রাস্তা হিসেবে এটি পরিচিত। বড় ট্রাক থেকে শুরু করে ছোটখাটো পন্যবাহী যানবাহনের পাশাপাশি প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়েই নানান বাহনে যাতায়াত করে থাকেন। পৌরসভা এলাকা পেরিয়ে কেঁড়াগাছি, হেলাতলা, সোনাবাড়িয়া ও চন্দনপুর ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক গ্রাম ও এলাকায় যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। তবে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাব, মাত্রাতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল ও গেলো বর্ষা মৌসুমের প্রভাবে এই রাস্তার অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে খারাপ অবস্থা পরিলিক্ষত হয়। এর মধ্যে পৌরসভা এলাকা বাদে ১৫/২০ স্থানে ভয়াবহ খারাপ অবস্থা। স্থানগুলোর রাস্তাজুড়ে বৃহৎ আকারে মারাত্মক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, ধসে গিয়েছে। এতটাই বিনষ্ট যে, যাত্রীবাহী যানবাহন থেকে ড্রাইভার ছাড়া সকলকে নেমে স্থান পার হতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উল্টে যেতে দেখা গেছে ইজিবাইক, মহেন্দ্রকে। ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রো কাত হয়ে, কিংবা চাকা ফেঁসে নিচের অংশ বেঁধে যেতেও দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলারোয়ার মহেন্দ্র- ইজিবাইক স্ট্যান্ড থেকে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ পেরিয়ে হাসপাতাল রোডের পুরোটাই অকল্পনীয় খারাপ অবস্থা। তবে সেখানে সংস্কারের এখনো কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। এরপর ওই রাস্তাটির হেলাতলা ইউনিয়নের ছাগলের মোড় থেকে ঝাঁপাঘাট প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত অন্তত ৩/৪টি স্থানে, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাঁটার সামনে, রামকৃষ্ণপুর-বুঝতলার মাঝামাঝি ৩/৪টি বড় স্থান জুড়ে, বুঝতলা বাজার থেকে চন্দনপুর ইউনিয়নের বিক্রমপুর ব্রিজ পর্যন্ত অন্তত ৫/৬টি স্থানের বৃহৎ অংশজুড়ে ভয়ানক, বয়ারডাঙ্গা থেকে গয়ড়া তথা চন্দনপুর কলেজ মোড় পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে ভঙ্গুর অবস্থা।
এই রাস্তা খারাপের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন পথচারীরা। তারা বারবার রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
অবশেষে জনগণ ও পথচারীদের ভোগান্তি এড়াতে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিলেন চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি।
'সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ'র সহযোগিতায় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মৌসুমী জেরিন কান্তার নির্দেশনায় রাস্তার বড়বড় ভাঙা স্থান বালি ও খোয়া দিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে' বলে জানালেন ইউপি চেয়ারম্যান মনি।
তিনি আরো জানান, 'চন্দনপুর কলেজ মোড় থেকে ঝাঁপাঘাট ছাগলের মোড় পর্যন্ত ১০/১২ স্থানে ট্রলিযোগে বালি ও খোয়ার মিশ্রণ দিয়ে রাস্তার গর্ত সংস্কার করে জনগণের যাতায়াত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার থেকে এ কাজ শুরু করা হয়েছে, রবিবারও কাজ চলবে।'
সাম্প্রতিক ছবি:
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]