অভাবের তাড়নায় বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মৃত্যুর পথে পরিতোষ ঘোষ। বয়স পঞ্চাশের মতো হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেখলে মনে হবে সত্তর ছুঁইছুঁই।
কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ ঘোষ। অভাবের তাড়নায় বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে মৃত্যুর পথে তিনি। পরিবারে উপার্জনের দ্বিতীয় কেউ না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ আধপেটা খেয়ে বিনা চিকিৎসায় ঠিকানা এখন বিছানা। কাঠা চারেক ভিটাবাড়ির জমি ছাড়া ফসলী মাঠে কোন জমি নেই। অসুস্থতারর আগে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতেন, এখন সেটাও বন্ধ। তিন জনের সংসারে বিনা উপার্জনে আধপেটা খেয়ে কোন রকমে চালিয়ে নিচ্ছেন পরিতোষ ঘোষের স্ত্রীও। অবিবাহিত কন্যা সন্তানটিও অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
পরিতোষ ঘোষের স্ত্রী পূর্নিমা ঘোষ জানান, বছর খানিক আগে তার স্বামীর জ্বর হয়। চিকিৎসার পরেও রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়ে। পঙ্গুত্ব বরণ করেন। এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। অভাবের সংসারে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে তিনি পড়েছেন মহাবিপাকে। পেটের ক্ষিধে মেটাবে কিভাবে আর অসুস্থ স্বামীকে চিকিৎসা করাবেন কিভাবে? ধারদেনা করে কিছু টাকা জোগাড় করে অসুস্থ স্বামীকে কয়েক দিন আগে একজন ডাক্তার দেখিয়েছেন। ডাক্তার বলেছে স্বামীকে সুস্থ করতে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে ঔষধ খেতে হবে। মাঝে মধ্যে ডাক্তারের কাছে যেতে বলেছে। সব মিলিয়ে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সংসার-ই চলে না, ডাক্তার দেখাবেন ও ঔষধ কিনবেন কিভাবে? সেই দুশ্চিন্তায় এখন অমল ঘোষের স্ত্রীকে কুরে কুরে খাচ্ছে সর্বক্ষণ।
তিনি আরো জানান, অভাবের কারণে এবারের পূজায় মেয়েকে নতুন জামাকাপড় কিনে দিতে পারেনি। পূজার আনন্দ যেনো অমল ঘোষের পরিবারের কাছে অভিশাপের মতো।
পরিতোষ ঘোষ জানান, তাদের পাঁচ মেয়ের মধ্যে চার জনের বিয়ে হয়ে গেছে। মেয়ে-জামাইরা ও প্রতিবেশীরা মাঝে মধ্যে সাহায্য সহযোগিতা করেন। বর্তমানে নিজের উপার্জনের কোন পথ নেই।
তিনি সকলের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]