একটি দোকানের সামনে দেখা মেলে গরীবের ফলের চাহিদা মেটানোর ঝুঁড়ি।
ফারুক হাসান নামের এক পথযাত্রী সূত্রে জানা যায়, যশোরের চৌগাছা বাজারের একটি ফলদোকানের সামনে একটি ঝুঁড়ি রাখা আছে।
ঠিক এই প্রথাটি তুরস্কে উসমানীয়া খেলাফত থেকে চলে আসছে। উসমানীয়া খেলাফতের সময় তুরস্কের প্রতিটি দোকানে এভাবে গরীবদের জন্য আলাদা একটা ঝুড়ি রাখা হতো, যারা দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করতেন তারা তাদের ক্রয়কৃত সামগ্রী থেকে সামান্য কিছু সেই ঝুড়িতে রেখে দিতেন গরীব মানুষদের জন্য। মজার ব্যাপার হলো, কোন গরীব অসহায় মানুষ তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি খাবারও নিতেন না ঝুড়ি থেকে। যতটুকু তার প্রয়োজন ঠিক ততটুকু নিতেন।
তুরস্কের ঐ গরীব মানুষ গুলো যখন স্বাবলম্বী হতেন ঠিক তখন তারাও একই ভাবে ঝুড়িতে তাদের ক্রয়কৃত মালামাল থেকে কিছু রেখে আসতেন। তখন কোন মানুষ আর অভুক্ত থাকতো না তুরস্কে। অর্থাৎ এতে দেশ ও জাতির আর্থসামাজিক উন্নয়ন সহ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটতো।
চৌগাছায় এমন মহতী উদ্যোগ অনেক প্রশংসার দাবিদার। স্থানীয় মানুষ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি বাজারে এভাবে গরীবদের জন্য যদি এমন উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে হয়তো দেশ ও জাতির আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ মানবিক মূল্যবোধটুকু বেঁচে থাকবে।এমনটায় প্রত্যাশা করেন গুণীজন'রা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]