দ্বিতীয় চালান এলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান শুরু করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি সপ্তাহে চূড়ান্ত হবে প্রয়োগ পরিকল্পনার পাশাপাশি দিনক্ষণ।
এছাড়া মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দিতে ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্র সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মসূচিতে যুক্ত করা হচ্ছে ইপিআই কর্মীদের।
দেশে সব কেন্দ্রেই এখন বন্ধ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদান। দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় ১৫ লাখ ২২ হাজার মানুষ।
তবে আশার আলো জাগাচ্ছে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে আসা প্রায় আড়াই লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। মাসখানেকের মধ্যে আরও ৩৭ লাখ টিকা আসার কথা।
দ্বিতীয় ধাপে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রদানে এখনো কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভাবনা আছে আগামী সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু করার। তবে কার্যক্রম সাবলীল রাখতে পরবর্তী চালানের অপেক্ষায় আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এদিকে আগামীতে প্রতি মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ওয়ার্ড পর্যায়ে কেন্দ্র সম্প্রসারণের কাজ চলছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাশাপাশি সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি-ইপিআই কর্মীদেরও যুক্ত করা হচ্ছে কার্যক্রমে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এবারের যে কর্মসূচি এ কমসূচিতে কিন্তু দক্ষ জনগোষ্ঠী কাজ করা শুরু করেনি। কেবল হাসপাতাল ভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে করা হয়েছে। এ সংখ্যাটার সাথে যদি ইপিআই কর্মসূচিতে কাজ করা কর্মীদের যুক্ত করা যায় তাহলে টিকাদান কার্যক্রম গতি পাবে।’
‘এতে মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া খুব অসম্ভব কাজ হবে না’ বলেও মন্তব্য করেন ডা. নাজমুল ইসলাম।
এদিকে, টিকা নেওয়ায় আগ্রহ বাড়াতে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে চলবে ৬ দিনব্যাপী প্রচারণা। সে সময় কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকা নিতে পারবেন ৬০ লাখ মানুষ।
আগামী বছরের শুরুর মধ্যে অর্থাৎ আগামী পাঁচ-ছয় মাসে সব মিলিয়ে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সরকারের হাতে বর্তমানে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ডোজ টিকা দেশে চলে আসবে। এ ছাড়া চীন থেকে তিন কোটি, রাশিয়া থেকে সাত কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটিসহ আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ডোজ টিকা চলে আসবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এসব টিকা পেলে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ লোককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]