নিজস্ব প্রতিবেদক: সব বাধা উপেক্ষা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০০৯ সালের পর প্রতিটি নির্বাচনে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। কারণ, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে এই আওয়ামী লীগ। আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় উদযাপনের এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য গড়তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। দেশের মানুষের কোনও কিছু ছিল না। থাকার ঘর ছিল না, বাড়ি ছিল না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল দেশের মানুষ। সেই জাতির জন্য, নিজের জীবন উৎসর্গ করেন জাতির পিতা। অনেক সংগ্রাম ত্যাগের মধ্য দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেন।
ঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসেছিলেন এই বাংলাদেশে, সবার আগে ছুটে এসেছিলেন ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। যেখানে তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, কী কী কাজ করা দরকার, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে কীভাবে গড়ে তুলবেন সেসব বিষয়ে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণেই উল্লেখ করেছিলেন। যে ভাষণ তিনি এ জায়গায় দিয়েছিলেন। এই ভাষণ যখন শুনি আমি মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই।
দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে বন্দি ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে তাকে ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হতো না। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছিল তাকে। এমনকি একটি পত্রিকাও তার জন্য রাখা হয়নি। তার ফাঁসির হুকুম হয়ে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে লন্ডন হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছিলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে পা রেখেই বাংলার জনগণের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন মন্তব্য করে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ১০ জানুয়ারি এখানেই তিনি ভাষণ দেন। সেই ভাষণে একটি দেশের ভবিষ্যৎ, উন্নয়ন, সব পরিকল্পনা, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর পরিকল্পনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ, সেটাই তিনি তুলে ধরেছিলেন।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এ দেশে অন্ন, বস্ত্র ,বাসস্থান, শিক্ষার কোনও কিছু ছিল না। প্রায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচের বাস করতো। একবেলা খাবার পেত না, দিনের পর দিন না খেয়ে তাদের জীবন কাটাতে হয়েছে। সেই মানুষদের মুক্তির জন্য অনেক ত্যাগ-স্বীকার করতে হয়েছিল তাকে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]