ফারুক রহমান, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদরের আগরদাড়ি ইউনিয়নের ইন্দ্রিরা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় তিনজন মারাত্মক আহত হয়েছে। আহতরা হচ্ছে, ইন্দ্রিরা গ্রামের মৃত কওছার আলী সরদারের ছেলে আইয়ুব আলী (৬৭) তার ছেলে মোঃ বাবুল হোসেন (৪১) ও স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৬২)। ঘটনাটি ঘটেছে ৮ মে ২০২৪ বুধবার বিকাল ৪টায়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আইয়ুব আলী অভিযোগে জানান, আগরদাড়ি ইউনিয়নের জনৈক হাবিবুর রহমান হবির নির্দেশে একই এলাকার মৃত সোনাই সরদারের ছেলে আনছার আলী, শওকাত আলীর ছেলে শামিম, শাহিন ও সিদ্দীক, সিদ্দীকের ছেলে আবুজার ও ফারুক, মৃত সোনাই সরদারের ছেলে শওকাত আলী, আনার আলীর ছেলে রহমত, আনোয়ার হোসেনর ছেলে রহমান, মৃত মুনছুর আলীর ছেলে আলমগীর, মিজানুর রহমানের ছেলে ফয়সাল, হারুন সরদারের ছেলে চয়নসহ ৫০-৬০ জন তাদের উপর হামলায় চালায়। এ সময় তারা আইয়ুব আলী, তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ছেলে বাবুল হোসেনকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছ। সন্ত্রাসীরা তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়েছে। বর্তমানে আহত তিনজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলায় বাবুল হোসেনের মাথায় কোপ লেগে ফেটে গেছে এবং দুই হাত ভেঙে গেছে। একইসাথে আইয়ুব আলী মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্তরা আগরদাড়ি ইউনিয়নের ইন্দ্রিরা বসবাসসত আইয়ুব আলীর বসতভিটার সীমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে বেড়া উচ্ছেদ করতে উদ্যত হয়। এ সময় ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী বাঁধা দিলে তার উপর অভিযুক্তরা হামলা করে। এ সময় পিতাকে রক্ষা করতে তার ছেলে বাবুল হোসেন এগিয়ে আসলে তার উপরও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এক পর্যায়ে রোকেয়া খাতুন ছেলে ও স্বামীকে ঠেকাতে গেলে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা তার তাকেও বেদম মারপিট করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে সকলকে এালাপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় ও প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।
এই ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে আহত আইয়ুব আলী।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]