ক্যানানাইটিসরা ভুমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত শহর গাজা, যেখানে প্রতিনিয়তই মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করে মুসলিম অধিবাসীদের।
ইসরাইলি আগ্রাসনে যে শহরবাসীরা নামাজ পড়তে গেলেও মৃত্যুকে হাতে নিয়ে যায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ফিলিস্তিনের সেই গাজা শহরের ছোট্ট এক শিশু আলোড়ন তুলেছে।
মুসলিম বিশ্বের এক বিস্ময় বালক। বয়স মাত্র তার গুণে গুণে আট বছর। আর মাত্র আট মাসে পবিত্র আল কোরআন মুখস্থ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিল আল আওয়াজ নামে আট বছরের ওই শিশু।
জানা গেছে, প্রতিদিন ১৬ পৃষ্ঠা করে কোরআনের আয়াত মুখস্থ করে নিত আল আওয়াজ।
ফিলিস্তিনের গাজাপ্রদেশের জাবালিয়া শহরে জন্ম ওই বিস্ময় বালকের।
স্থানীয় আল ওমরি মসজিদের কোরআন শিক্ষার মক্তবে নিয়মিত যেত ছোট্ট আল আওয়াজ।
সেখানে ওস্তাদের কণ্ঠে শুনে শুনেই নাকি প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা করে মুখস্থ হয়ে যেত তার।
একদিন তার মনে হলো এই পৃষ্ঠা সংখ্যা তো আরও বাড়িয়ে নেয়া যায়।
অতঃপর ধীরে ধীরে ছোট্ট আওয়াজ ২-৩ পৃষ্ঠা করে আয়ত্ত করতে শুরু করে।
একসময় সে আয়ত্ত গিয়ে দাঁড়ায় দৈনিক ১৬ পৃষ্ঠা পযর্ন্ত।
এ ছাড়া আগে মুখস্থ করা আয়াতগুলো ফের ঝালিয়ে নিতে দৈনিক ১৬ পৃষ্ঠা মুখস্থের পাশাপাশি ৪৫ পৃষ্ঠা পেছনের পড়া নিয়মিত পড়ত আল আওয়াজ।
এভাবেই যেখানে অত্যাচারী ইসরাইলিদের গোলাবারুদের আঘাতে গাজা যখন ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল, তখন আল ওমরা মসজিদের এক কোণে বসে মাত্র ৮ বছরের ছোট্ট এক ফিলিস্তিনি শিশু আট মাসেই ইসলাম ধর্মের ঐশী বাণীর পুরোটাই আত্মস্থ করল ।
আল আওয়াজকে এখন সবাই আল কোরআনের পাখি বলেই সম্বোধন করে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]