আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রæতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্বাচনে প্রতিপক্ষীয়দের রোষাণলে পড়ে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ড ও মিথ্যাচারে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মেম্বার হাবিবুর রহমান এর পরিবারের সদস্যরা জানান, তাদের সাথে প্রতিপক্ষের জমাজমি নিয়ে দ্ব›দ্ব দীর্ঘদিনের। এনিয়ে মামলা হলে মেম্বার পরিবারের পক্ষে রায় হয়। প্রতিপক্ষ আপীল করলে একই রায় হয়। পুনরায় উচ্চ আদালতে আপীল করা হলে তাদের পক্ষে রায় হয়। এছাড়া একাধিক ফৌজদারী মামলা চলমান রয়েছে।
অপরদিকে বিগত ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিদ্ব›িদ্ব সুমন পরাজয়বরণ করার পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র আরও ব্যাপকতর করতে থাকে। এরই অংশ হিসাবে দক্ষিণ একসরা গ্রামের রজব আলী গাজীর ছেলে ইয়াছিন রেজা বাদী হয়ে থানায় তার স্ত্রীকে মটর সাইকেলে করে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় বলে লিখিত এজাহার দাখিল করেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ করা হয়।
এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার ২য় স্বাক্ষী কালাম সরদারের ছেলে সুমন জানান, জমিজমা নিয়ে মেম্বারদের সাথে ইয়াছিনদের দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। এনিয়ে অনেক মামলাও চলছে। আমাকে স্বাক্ষী করে ইয়াছিনের বউ মটর সাইকেলে নিয়ে যাওয়ার যে ঘটনার কথা ও আমাদের নিয়ে তাদের ধরার চেষ্টার যে কথা বলা হয়ে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি এমন কোন ঘটনার কথা শুনিনি, জানিনা ও দেখিওনি।
ইয়াছিন রেজার স্ত্রী নাজমিন সুলতানা মোবাইল ফোনে জানান, আমার বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নারী কেলেঙ্কারী, মাদক ও চুরিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত দেখতে পাই। এনিয়ে তাদের সাথে আমার মনোমালিন্য চলতে থাকে। এনিয়ে শালিস বিচার হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পবির্তন না হওয়ায় প্রায় ৬ মাস পূর্বে আমি স্বামীকে তালাক দেই। আমি একা না, ভাসুর দেওর সকলের স্ত্রী স্বামী সংসার ছেড়ে চলে গেছে। একজনের দু’স্ত্রী, এক স্ত্রী আছে। এখন আমি ঢাকায় চাকুরি ও বসবাস করে আসছি। কারো সাথে আমার কোন সম্পর্ক ও বিয়ে হয়নি। মেম্বারকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও অমূলক বলে তিনি দাবী করেন।
অভিযুক্ত মেম্বার হাবিবুর রহমান জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, জমিজমা বিরোধ, ২নং স্বাক্ষী আমার সাথে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি ও আমার পরিবারবর্গ। বাদীর স্ত্রী নাজমিন সুলাতানার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলনা বা নেই। মেম্বার হিসাবে শালিসের কারনে তাদের সাথে ২/১ বার দেখা স্বাক্ষাৎ। বাদীর শ্বশুরবাড়িতে শালিস করতে কখনো যাইনি। তার স্ত্রী কবে, কখন, কোথায় গেছে তা আমার জানানেই।
ঘটনার তারিখ বা স্থানে অমন কোন ঘটনা ঘটেছিল বলে আমি বা এলাকার কেউ জানে বলে আমার জানানেই। মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা ও মান হানি করা হচ্ছে। তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে প্রার্থনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]