আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিবির একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিচারিক ক্ষমতায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
জিম্মা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. সালেহ উদ্দিনের জিম্মায় জামিন হয় তার।
জিম্মানামায় বলা হয়েছে, ‘আনোয়ার হোসেন মঞ্জু শারীরিকভাবে গুরুতর অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ বিধায় তাকে আদালত ও তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ভবিষ্যতে তলব করামাত্র নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির করতে বাধ্য থাকবো। মামলার পরবর্তী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আদালতে হাজির করবো। অন্যথায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইন আমলে আসবো।’
এর আগে সোমবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেছিলেন, ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু রাজনীতিবিদ ছাড়াও একজন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিন মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গত নির্বাচনে হেরে যান।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। পরে তিনি জাতীয় পার্টি (জেপি) গঠন করে এর চেয়ারম্যান হন।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া পত্রিকাটির প্রকাশক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন মঞ্জু।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]