বেশ কয়েকদিন যাবত আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমেই বাড়ছে সোনার দর। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে ইউরোপে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়া।
বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনা গত ৫ অক্টোবর ৪ অক্টোবরের চেয়ে ১২ দশমিক ৩৪ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯১৩ ডলারে দাঁড়ায়। ৬ অক্টোবর ৩৭ ডলার কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৭৬ ডলার। ৭ অক্টোবর ১২ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৮৬ ডলার, ৮ অক্টোবর ০৮ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে দাম দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৯৫ ডলারে। এই দাম সাপ্তাহিক লেনদেনের শেষ দিন ০৯ অক্টোবর ৩৪ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ১ হাজার ৯৩০ ডলারে। এদিন দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আট দশমিক আট ছয় শতাংশ।
সোনার দামের পাশাপাশি বিশ্ববাজারে বেড়েছে রুপার দামও। ০৯ অক্টোবর রুপার দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এতে সপ্তাহজুড়ে এই ধাতুটির দাম বাড়ল ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমানোয় এবং নির্বাচনের আগে আমেরিকান ডলার শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা চালানোয় মাঝে সোনার দামে কিছুটা পতন হয়। কিন্তু এখন ইউরোপে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনাভাইরাস প্রকোপ বাড়ায় আবার সোনার দাম বাড়ছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বলছে, ‘বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ায় চলতি সপ্তাহেই দেশের বাজারেও বাড়তে পারে। আগামী সোমবার নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে দেশের বাজারে, সবশেষ চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬২ হাজার ১১১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সোনার দর অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেলেও কমেনি চাহিদা। নানা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক পর্যায়ে সোনার চাহিদা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন সোনার প্রচুর চাহিদা। বর্তমানে দেশের বাজারের ১৫ থেকে ২০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তারা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]