আপিলে খালাস : রায় ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে গেলেই মুক্তি আজহারের


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। আজহারের আপিল মঞ্জুর করে মঙ্গলবার (২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
জানা গেছে, রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগে একটি শর্ট অর্ডারের আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের পর আদালতের (শর্ট অর্ডার) রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে গেলেই তিনি মুক্তি পাবেন। সেটি যখনই কারাগারে যাবে তিনি তখনই মুক্তি পাবেন।
এ বিষয়ে এটিএম আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জগো নিউজকে বলেন, আমরা একটি শর্ট অর্ডার চেয়েছি, অ্যাডভান্স অর্ডার চেয়েছি। সেটি আদালত মঞ্জুর করেন। আদালত বলেন, আজ-কালকের মধ্যেই শর্ট অর্ডারটি যেন প্রসেস হয় সেজন্য সব আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংক্ষিপ্ত রায় তিন পৃষ্ঠার
এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রায়ের সংক্ষিপ্ত তিন পৃষ্ঠার অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বিচারকের সইয়ের পর সেটি এখন ট্রাইব্যুনালে যাবে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শর্ট অর্ডারটি যখন ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে যাবে সেই রায়ের অনুলিপি পৌঁছার পরই এটিএম আজহার মুক্তি পাবেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অন্য ছয়জন হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি ইমদাদুল হক, বিচারপতি মো. আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। বেঞ্চের সাত বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দিয়েছেন। রায়ে আপিল বিভাগ অবিলম্বে এটিএম আজহারের মুক্তির নির্দেশ দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। এ রায়ের ফলে জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
