আবারও পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাণ্ডব চালালো ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী। বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরের ওই অভিযানে আহত হয়েছেন অনেক ফিলিস্তিনি। আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপরও আক্রমণ করেছে তারা। খবর আলজাজিরার।
ইসলামের তৃতীয় পবিত্র মসজিদ আল আকসা। বুধবার ভোরে সেখানে থাকা শত শত মুসল্লির ওপর আকস্মিক হামলা চালায় তারা। এ সময় মসজিদের ভেতর প্রবেশ করে মুসল্লিদের গ্রেফতার ও মসজিদের ভেতর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। রমজানের রাতে ইবাদত করতে আসা বহু ফিলিস্তুনিকে আটক করা হয়েছে। এতে সেখানে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে বড় সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে যে, দাঙ্গার জবাব দিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, দক্ষিণের শহরগুলোতে সাইরেন বাজানোর পরে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে নয়টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
এ সময় গ্যাস বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে ইহুদি পুলিশ সদস্যরা। এতে মসজিদের ভেতর নারী-শিশুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়া হয় ইবাদতরত মুসল্লিদের। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে এবং উদ্ধার কার্যক্রমে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিনে কর্মরত রেডক্রিসেন্ট।
ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, মুখোশধারী কিছু আন্দোলনকারী মসজিদে ঢুকে পড়েছিল; মূল ফটক আটকে ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিল। পুলিশ সেখানে ঢুকলে তাদের ওপর লাঠি-পাথর নিয়ে হামলা চালানো হয়। তাদের দমাতেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
এদিকে, নামাজরত মুসল্লিদের ওপর চড়াও হওয়াকে অপরাধ আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]