করোনা মহামারির মধ্যে ও বৃষ্টিতে ভিজে আমন আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত ও ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার কৃষকরা। তবে চলতি আমন মৌসুমের শুরুর দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের বীজতলা তৈরিতে বেগ পেতে হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত পাম্প ব্যবহার করে সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে অনেক কৃষককে।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যে জানাগেছে- চলতি মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছিলো ২২ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে।
চলতি আমন মৌসুমে বেশ কয়েকটি জাতের ধান আবাদ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে রাজগঞ্জের ঝাঁপা, চালুয়াহাটি, মশ্বিমনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মাঠে কৃষকদের আমন রোপণে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কৃষকরা দলবেঁধে বীজতলা থেকে চারা তুলে প্রস্তুতকৃত জমিতে আমন রোপণ করছেন। অনেকে আবার জমিতে হাল দিয়ে চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতও করছেন।
রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী (৫০) জানান- শ্রমিক সংকটও রয়েছে। তারপরও স্থানীয় শ্রমিকদেরকে বাড়তি মজুরি দিয়ে আমন রোপন কাজ করাতে হচ্ছে। অন্যদিকে একই এলাকার আরেক কৃষক রমজান আলি (৫২) জানান- এবার আমন ধানের চারা জমিতে রোপণের পর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো অনেক কৃষক আমন ধানের চারা জমিতে রোপন করছে। আশা করি ফলন ভালো হবে।
ঝাঁপা ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র জানান- আমনের জমিতে কীটনাশকবিহীন রোগবালাইমুক্ত ধান উৎপাদনে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]