বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আজকে আমি অসহায়, আজকে আমি জিম্মি, আজকে আমি অবরুদ্ধ। আজকে পৌরসভার আঙ্গিনায় ডিসি, এসপি, ইউএনও ওসির নির্দেশে আমি ত্রাণ বিতরণ করতে পারিনি। আজকে আমার বিরুদ্ধে ওবায়দুল কাদের সাহেব আওয়ামী জাসদ অস্ত্রধারীদেরকে ও আওয়ামী দুর্নীতিবাজ প্রশাসনকে কেন লেলিয়ে দিয়েছে। এটা দেশের মানুষ জানে। লেলিয়ে দিয়েছে, আমাকে নেতাকর্মী শূন্য করার জন্য এবং আমার মুখ বন্ধ করার জন্য।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মূলত ওনার স্ত্রীর অপকর্মকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। আমাকে নেতাকর্মী শূন্য করতে চায়। ওনার স্ত্রী সম্পর্কে আপনারা ভালো করে জানেন কি করতেছে। ওনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কন্ট্রাক্টর বিএনপির। দুই-চারজন আছে আওয়ামী লীগের, তারাও কাজগুলো পাইলে বিএনপির লোকদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কন্ট্রাক্টরদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে এপিএস। তার কোনো কাজ নেই। সে আমার এলাকার লোক চেনে না। সে সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে সচিব বেলায়েতের কাছে দেয়। সচিব বেলায়েত এটা তিন ভাগ করে। এক ভাগ তাদের মন্ত্রণালয়ে যারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়। এক ভাগ তারেক জিয়ার জন্য পাঠায়। আরেক ভাগ মন্ত্রীর ওয়াইফের জন্য পাঠায়। এগুলা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
কাদের মির্জা বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এ মহিলাকে মন্ত্রী আপনি বাঁচাতে পারবেন না। দুদকের মামলা আগেও আছে। আপনি চাপা দিয়ে রাখছেন। ওয়ান ইলেভেনের পর দুদকের মামলা হইছে। উনি ওনার আত্মীয় স্বজনের নামে কয়টা ফ্লাট আছে। ওনার বান্ধবীরা যারা বিদেশে থাকে, ওনার বোনের এক মেয়ে ফ্রান্সে না কোথায় থাকে। হাজার হাজার কোটি টাকা সেখানে আপনার জমা আছে। সব খবর আমার আছে। আপনার ভাইয়ের মেয়ে তার নিজস্ব লোকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে। এগুলার সব খবর আমার কাছে আছে। লুকাইতে পারবেন না। আপনি বাঁচাতে পারবেন না। আপনার মন্ত্রীত্বের ক্ষমতা দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারবেন না। এ দেশের জনগণ জানে। আর একটা জিনিস স্মরণ রাখবেন, জনশ্রুতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ডকুমেন্ট। এ জনশ্রুতি আপনি বন্ধ করতে পারবেন না।
তিনি আরো বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যারা আজকে আপনার সম্মানহানি করছে। আপনি তাদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন। আপনি শেষ বয়সে আপনি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। আপনার স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটা প্রজেক্ট পায়। চট্টগ্রামের অফিস, কুমিল্লার অফিস, ঢাকার অফিস তাদের দখলে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]