গ্রীষ্মকালীন ফল আম, যাকে ফলের রাজা বলা হয়। এই রসালো ফলটি পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। তবে কেবল আম নয় এর পাতাও কিন্তু খাওয়া যায়। জানলে অবাক হবেন, ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ন্ত্রণে উপকারি ভূমিকা রাখে আম পাতা।
হেলথলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমের পাতায় রয়েছে পুষ্টিগুণ যা ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায়। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকরী। আম পাতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন এই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই-
আম পাতার গুণ
আমের পাতায় আছে ভিটামিন এ, সি এবং বি সমৃদ্ধ। এতে আছে ভোনয়েড এবং ফেনল। তাই আম পাতাকে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বলা হয়। আমের কচি পাতা প্রায়শই কিছু জায়গায় রান্না করেও খাওয়া হয়।
ব্লাড প্রেশার কমায়
আম পাতায় রক্তনালীকে শক্তিশালী করার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এটি ব্লাড প্রেশার কমায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যানসার দূরে রাখে
আমের পাতায় অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে এটি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে, যা ক্যানসারের মতো রোগের মূল কারণ।
চুলের সমস্যা দূর করে
চুলের নানা সমস্যায় যারা প্রাকৃতিক প্রতিকার চান তাদের জন্য আম পাতা হতে পারে ভালো সমাধান। এই পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে, যা চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধ করে। এছাড়াও, এতে রয়েছে ভিটামিন-এ এবং সি, যা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে।
পেটের আলসারের চিকিৎসায় সহায়ক
পেটের জন্য আম পাতা টনিকের মতো কাজ করে। এটি পেটের আলসারের চিকিৎসায় দারুণ সাহায্য করতে পারে।
দুশ্চিন্তা কমায়
আম পাতা অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা সারাতেও কাজ করতে পারে। আম পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন বা চা বানিয়ে পান করতে পারেন। এতে অস্থিরতা দ্রুত দূর হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের আম পাতা খাওয়ার উপায়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতা ওষুধের মতো কাজ করে। ১০ থেকে ১৫টি আম পাতা পানিতে সিদ্ধ করে এই পানি সারারাত ঢেকে রাখতে হবে। পরদিন সকালে ছেঁকে খালি পেটে এই পাতার পানি পান করলে সারাদিন রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]