নাটোরের গুরুদাসপুরে হালখাতার কার্ডে নামের আগে আলহাজ্ব না লেখায় নারীসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বুধবার বেলা ১১টার দিকে কামাল এবং জিয়ারুলসহ বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে রড, বাটাম ও হাসুয়া দিয়ে আক্রমণ করে পাঁচজনকে গুরুতর জখম করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাদুয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের সিট কাপড়ের দোকানে বকেয়া ছিল প্রতিবেশী আমিনুল হকের। সেই বকেয়ার হালখাতার কার্ডে নামের আগে আলহাজ্ব না লেখায় তার স্বজনদের ক্ষোভ ছিল দোকানি আনোয়ার হোসেনর ওপর। হালখাতার কার্ডে নামের আগে আলহাজ্ব না লেখায় ওই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
আহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা রিক্তা বেগম (২৮) ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন (৩৭) গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবু জাফর (৬৭) ও তার স্ত্রী সুফিয়া (৫৮) এবং ছেলে সাহাবুলকে (৩৮) রাজশাহী মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মামলার বাদী আবু জাফরের ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, কোনো বিবাদ নেই, শুধু আধিপত্য বিস্তারের কারণে আমাদের পরিবারের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে।
হাজী আমিনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। এ হামলায় আমাদেরও তিনজন আহত হয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]