সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর পানার বিলে মৎস্য ঘের দখলে বাঁধা দেওয়ায় ঘের মালিক রফিকুল ইসলাম(৫৫) সহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
আহত অপর পাঁচজন হলেন- আলিপুর মোল্লাপাড়ার মনিরুল ইসলাম (৪৫), একই এলাকার মো: আকাশ (২৪), ও রমজান আলী (৬৫)। স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকাল ৫টায় উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের পানার বিলে এ ঘটনা ঘটে। পরেরদিন বুধবার একই এলাকার রহমতুল্লাহ'র ছেলে মো. ফজলু (৪৫) কে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আহত রফিকুলের ভাই মো. রবিউল ইসলাম।
রবিউল ইসলাম বলেন, ফজলুরা আমার আমার মৎস্য ঘেরটি জবর দখল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে এবং আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। মঙ্গলবার বিকালে, ফজলুর নেতৃত্বে, মনিরুল, জাহাঙ্গীর হোসেন, রইস উদ্দিনসহ ১৫ থেকে ২০ জন হাতে কোদাল, শাবল, লাফনা, বল্লব, চাইনিছ সহ ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের নিয়ে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ ভাবে আমার মৎস্য ঘেরে এসে বাধ কাটতে থাকে। আমি বাধা দেওয়ায় তারা আমাকে মারপিট করে। ঐ সময় আমার ভাই রফিকুল ইসলাম (৫৫), মনিরুল ইসলাম (৪৫), ভাইপো মোঃ আকাশ (২৪) ও আমার শ্বশুর রমজান আলী (৬৫) ঠেকাইতে গেলে তারা আমার ভাইদেরকে মারপিট করে আহত করে। এসময় চাইনিছ কুড়াল দিয়ে আমার ভাই রফিকুল ইসলাম কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার মাথায় কোপ মেরে মারাত্মক হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
তিনি বলেন, এসময় লোহার রড দিয়ে আমার ভাই মনিরুল ইসলাম এর ডান হাতে বাড়ি মেরে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। কোদাল দিয়ে আমার ভাইপো মোঃ আকাশ কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও পিঠে কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া বল্লব দিয়ে আমার শ্বশুরের পায়ে খোচা মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারতে গেলে আমি বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে রাম দায়ের কোপ বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ও অনামিকা আঙ্গুল কেটে পড়ে গিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আমরা এ ঘটনা বিচারের দাবি করছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]