আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে ঘরবাড়ি ভাংচুর মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি সহ নালিশি জমিতে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
খাজরা ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের মোজাম গাজীর ছেলে আশাশুনি থানার ২১(৫)২০২৪ নং মামলার বাদী লতিফ গাজী জানান, কালিকাপুর মৌজার এস এ ৬, সাবেক ৫৫ নং হাল ১০৯ নং খতিয়ানে ২৮ শতক জমির মধ্যে সাড়ে ২৩ শতক জমির মালিক হাদান দাইয়ের ছেলে মোংলা দাইয়ের কাছ থেকে ১৯৮৬ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি আমার পিতা মোজাম গাজী ও চাচা জালাল গাজী ৯৮০ নং কোবলা দলিল মূলে ক্রয় করে স্বত্তাধিকারী হন। জমি ক্রয়ের পর থেকে দীর্ঘ দিন ধরে পার্শ্ববর্তী মৃত জমাত আলী গাজীর ছেলে সামছুর গাজীর সাথে মৌখিক এওয়াজ মুলে ভোগ দখলে ছিলাম। গত বছর স্থানীয় শালিসি বৈঠকে জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ক্রয়কৃত দাগে যাওয়ার কথা বলা হয়। এরপর ১২ মে মাপ জরিপ করে সার্ভেয়ার আব্দুল সানা যার যার অবস্থান চিহ্নিত করে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। এরপর থেকে আমরা কাঁটাতার ও পাকা পিলার দিয়ে পুকুর এবং ভিটাবাড়ির জমিতে শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখলে ছিলাম। এ জমি নিয়ে তারা আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করলেও গত বছরের ২০ ডিসেম্বর শুনানিতে তা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু গত ২৩ মে সামছুর গাজীর ছেলে সোহরাব হোসেন, ইউনুছ, রেজাউল, রবিউল, ইসহাক সরদারের ছেলে রুবেলসহ ১০/১২ জনের একটি দল এসে আমাদের দখলীয় সম্পত্তিতে থাকা ঘরবাড়ি ভাংচুর, কাঁটাতারের ঘেরা বেড়া তছনছ করে দেয়।
এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে উপরোক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ২১ নং একটি মামলা দায়ের করি। এরমধ্যে অভিযুক্ত সোহরাব, আছাফুর ও রুবেল কে আটক করে পুলিশ আদালতে হাজির করে। জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে এসে গত ১০ জুন তারা আবারো আমাদের সীমানার কাঁটাতারের বেড়া পাকা পিলার ভাংচুর করে এবং নালিশি সম্পত্তির পুকুর থেকে জোর করে মাছ লুটপাট করতে থাকে। তাদের বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাদের প্রান নাশের হুমকি প্রদান করছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা আরও হিং¯্র হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]