আশাশুনির সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস গ্রামের ভ্যান ও সাইকেলের মিস্ত্রী এশার আলীর কন্যা মাথায় টিউমার অপারেশনের পর শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে তার পিতা এশার আলি সরদার সাহায্যের জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছে। এশার আলী সরদার সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে নাজমা সুলতানাকে ২০১৩ সালে একই উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শ্বেতপুর গ্রামের সাবুদ আলী সরদারের ছেলে নাছিম উদ্দিনের সঙ্গে বিবাহ দেন। তারপর তার গর্ভে একটা কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কন্যা সন্তানকে নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করে আসছিলেন। পরবর্তীতে সে পার্শ্ববর্তী রহমত আলীর মেয়ে মর্জিনা খাতুনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্কের জের ধরে ২০১৬ সালের শেষের দিকে আমার মেয়েকে বেদম মারপিট করে। মার পিটের এক পর্যায়ে খাটের কোনায় তার মাথার বাম সাইডে কানের উপরে আঘাত লেগে রক্ত জমাট বাধে। তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা ডিজিটাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার মাথার ফুলা স্থানে টিউমার ধরা পড়ছে বলেন। তারপর ওখান থেকে খুলনা আবু নাসের হাসপাতাল ও গাজী মেডিকেল হাসপাতাল এবং খুলনা সিটি মেডিকেল হাসপাতাল সহ ঢাকা নিউরোসাইন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা চিকিৎসার করাতে রাজি না হওয়ায় তাকে পরবর্তীতে ২০২১ সালে ভারতের ব্যাংগুলোর সেন্ট জোসেফ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওখানে তার অপারেশন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সে চোখে দেখতে পায় না, কথা বলতে পারে না এবং চলাফেরাও করতে পারে না। তার হাত পা গুলো চিকন হয়ে গেছে। বর্তমান সে মৃত্যুশয্যায় শায়িত। তার পাষন্ড স্বামী তার কোন খোজ খবর রাখা সহ কোন সাহায্য সহযোগিতাও করে না। এদিকে তার পাষন্ড স্বামী একই গ্রামের রহমত আলীর মেয়ে মর্জিনা খাতুনকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। আর অন্যদিকে তার বড় স্ত্রী অসহায় নাজমার শিশু কন্যাকে নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
এ ব্যাপারে তার অসহায় পিতা এশার আলি সরদার নাজমা সুলতানাকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জনিয়েছেন মোবাইল নাম্বার ০১৭২৪৭৮৮৭৬৭ (বিকাশ)।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]