আশাশুনিতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে পাওনাদার এমদাদ এর ঠাঁই মিলেছে এখন জেল হাজতে। উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝঁুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষ দর্শী আমজেদ সরদার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ করিম মোড়লসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, বৈকরঝঁুটি গ্রামের মৃত জবেদ আলী মোড়লের ছেলে ইমদাদ মাছের ব্যবসা করেন। তার কাছ থেকে অন্য ক্রেতাদের ন্যায় শোভনালী গ্রামের মৃত জবেদ আলী গাইনের ছেলে ঘের মালিক আবজাল হোসেন মাছ ক্রয় করেন। সবশেষ তার কাছে ২৭ হাজার ১৫০ টাকা বকেয়া পড়ে যায়। হালখাতায় তিনি অংশ না নেওয়ায় বারবার তাগাদার পর এক পর্যায়ে তিনি ঘের সেচের পর সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দেওয়ার ওয়াদা করেন। কিন্তু টাকা না দেওয়ায় ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এমদাদ তাদের বাড়িতে তাগাদায় যান এবং আঃ রাজ্জাকের দোকানের সামনে টাকা চাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতহাতি হয়। খবর পেয়ে আমজেদ ঘটনাস্থলে গেলে তার সামনে দেনাদারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী জুতা দিয়ে এমদাদকে মারপিট করে। বিষয়টি ওখানেই থেমে যায় এবং উভয় পক্ষ বসাবসি করে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু উল্টো দেনাদার পক্ষ গোপনে গোপনে থানায় মামলা করে ঘটনার ২৫ দিন পর পাওনাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পাঠালে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়ছে। মামলার বিষয়টি তারা গ্রেফতারের দিনই জানতে পারেন।
এলাকার জন প্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছোট্ট ঘটনাকে বড় করে মামলা ও গ্রেফতারের পরও দেনাদাররা নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অভিযোগে জিডি করে পরিবেশ ঘোলাটে করতে চাইছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]