জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে প্রায় ২০০ বিঘা ব্যক্তি মালিকাধীন সম্পত্তি স্থানীয় ও বহিরাগতরা সন্ত্রাসী স্টাইলে জবর দখল ও লুটতরাজ করে চলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যেকোন মুহুর্তে জমির মালিক গ্রামবাসীর সাথে জবর দখলকারীদের সাথে সংঘর্ষের শঙ্খা বিরাজ করছে।
এব্যাপারে ইউনিয়নের হাজরাখালী ও মাড়িয়ালা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অফিসার ইনচার্জ আশাশুনি থানা বরাবর এবং জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মার্স পিটিশান দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাগেছে, মাড়িয়ালা মৌজার ৬নং সিটে হাজরাখালী ভাঙ্গনকুলে ২০২০ সালে এলাকা প্লাবিত হয়।
দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী বাঁধটির নির্মান কাজ করেন। কাজ করার সময় কান্ট্রি সাইটের প্রায় ২০০ বিঘা ব্যাক্তি মালিকানা সম্পত্তি পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে যায়। এলাকার অসহায় গরীব মানুষ সেখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।
গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিবাদী বকচর গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, মৃত লোকমান সরদারের ছেলে আলমগীর ও আলামিন, কুদ্দুসের ছেলে ইসমাইল, মৃত ছামাদ সানার ছেলে সুজায়েত, মৃত নেবীর ছেলে মুরাদ, কলিমাখালী গ্রামের মৃত মহব্বত গাজীর ছেলে শাহাদাৎ, লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের মোন্তেজ গাজীর ছেলে আনারুল, ইজ্জত সরদারের ছেলে ইকতিয়ারসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে জমিতে জবর দখল ও লুটপাট শুরু করে।
সেই থেকে তারা সন্ত্রাসী স্টাইলে এলাকায় অবস্থান নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছে। নদী ভাঙ্গনের জমিও তারা জবর দখলে নিয়েছে। জবরদখলকৃত জমিতে মাছের ঘের করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।
খালের ভিতরে এলাকার মানুষের বাস্তভিটা, বসতবাড়ি, কবরস্থান রয়েছে। তারা ইচ্ছেমত পানি ওঠানামানো করলে বসতবাড়ি প্লাবিত ও জলমগ্ন হয়ে বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। জবরদখলকারীদের চালচলনে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীর সাথে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এলাকার মানুষ ১৬০ বিঘা জমির মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিপত্র গ্রহন করে জনস্বার্থে স্বাভাবিক ভাবে মৎস্য ঘের করে জীবিকা নির্বাহ ও বাস্তভিটা রক্ষার প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। এতে বিবাদীরা নানাভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
ফলে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও বিবাদীরা যাতে জন সাধারণের জন্য হুমকী স্বরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করে মৎস্য ঘের করতে না পারে সেব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]