সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রসায় অবৈধভাবে ৭টি শুন্য পদে রাজাকার পরিবারের সন্তানদের নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অবৈধ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামের আব্দুল বারিক সরদারের ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আনুলিয়া মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রসার একজন অভিভাবক সদস্য। স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে জামায়াত-শিবিরের নিরাপদ আস্তানা হিসাবে গড়ে তুলেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের পড়া লেখার মান আগের মত ভালো নেই।
প্রতিষ্ঠানটির এ অবস্থার মধ্যে ৭টি শুন্য পদে অবৈধভাবে লোক নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। অবৈধ এনিয়োগ বাণিজ্যের নেপথ্যে রয়েছে এফতেদায়ী শিক্ষক মাওঃ তৈয়বুর রহমান। তার ভাই ডিজি প্রতিনিধি ঢাকা আলিয়া মাদ্রসার ভাইচ প্রিন্সিপাল মাওঃ আব্দুর রশিদ এবং থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও বর্তমান মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওঃ ওলিউল্লাহ। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউসুফ আলী সরদার বলেন, মহামারি করোনাকালিন সময় সরকার যেখানে অর্ধলক্ষ শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রেখেছে, সেখানে উল্লেখিত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারি করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে উক্ত শুন্য পদের প্রার্থীদের যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
মাদ্রাসার সভাপতি এডিসি যাচাই বাছাইয়ের দায়িত্বে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর ন্যস্ত করলেও তার অনুপস্থিতিতে থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকী বিল্লাহ ও মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওঃ ওলিউল্লাহ ৩ সদস্যের উপস্থিতিতে যাচাই বাছাই সম্পন্ন করেন। ইউসুফ আলী সরদার অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাওঃ তৈয়বুর রহমান তার পরিবারের ৬জন সদস্য বিভিন্ন পদে চাকুরি করেছেন।
নতুন করে শুন্য পদে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বানতে চান। মাদ্রাসার ৭টি পদের মধ্যে তিনটিতে নিজেদের সন্তান ও মোটা অংকের টাকা নিয়ে আরো তিনটি পদে নিজেদের অত্মীয়দের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন মাওঃ তৈয়বুর রহমান ও মাওঃ আব্দুর রশিদ গংরা। যাদেরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তারা হলেন, যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী এলাহী বকস্ সরদারের ছেলে মাহবুবুর রহমান, পুত্রবধূ মাছুরা খাতুন, ভাইপো বদরুল আলম, ভাইঝি খাদিজাতুল কুবরা, রাজাকার নুর বকস্রে মেয়ে সাবরিনা মমতাজ, রাজাকার শামছুর রহমানের পৌত্র মাসুম বিল্লাহ ও পৌত্রি লাকী পারভিন।
উল্লেখিতরা সবাই মাওঃ তৈয়বুর রহমান ও মাওঃ আব্দুর রশিদ এর পরিবারের সদস্য। এলাকাবাসী ও অভিভাবক সদস্যরা মাদ্রাসায় স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে সম্পূর্ন নিয়ম মেনে বৈধভাবে নিয়োগের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ কোন ভ্রুক্ষেপ করছেন না। তিনি এই অবৈধ নিয়োগ পক্রিয়া বন্ধের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]