নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরে এক সংখ্যালঘুর বাড়ির নারিকেল গাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা প্রকাশ্যে দিবালোকে দলবল নিয়ে অর্ধ শতাধিক ডাব পেড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানায় অভিযোগের পর ওই সংখ্যালঘু পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ব্রহ্মরাজপুর বৈরাগীপাড়ার মৃত অনীল কর্মকারের পুত্র রবীন্দ্র কর্মকার সাতক্ষীরা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করছেন ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই হাসানুর রহমান।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার সময় ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে মাদক সম্রাট নেপাল, স্বপন বিশ্বাস ও নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি জিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৭জন প্রকাশ্য দিবালোকে ফিল্মিস্টাইলে জোরপূর্বক ব্রহ্মরাজপুর বৈরাগীপাড়ার মৃত অনীল কর্মকারের পুত্র রবীন্দ্র কর্মকারের বসত বাড়ির নারকেল গাছ থেকে অর্ধশতাধিক ডাব পেড়ে নিয়ে যায়।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রভাবশালী ওই মহলটি সংখ্যালঘু রবীন্দ্র কর্মকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের কারণে বর্তমানে রবীন্দ্র কর্মকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে মহিলা মেম্বর রাবেয়া সুলতানাকে হত্যার উদ্দেশ্য মারপিট, অনীল চৌধুরীকে মারপিট, নিতাই ঘোষ, অমল সরদার ও সুজন পালের ব্রহ্মরাজপুর বাজারের দোকানে গিয়ে প্রকাশ্যে মারপিট করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তেতুলডাঙ্গার দিলীপের নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, কাশিনাথপুরের বর্তমানে মৃত নাজিমউদ্দিনের নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎসহ অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে অভিনব কায়দায় লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। উক্ত বোরহান উদ্দিন বিভিন্ন কৌশলে অন্যের জমি জবর দখলপূর্বক আত্মসাৎ করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাব খাটিয়ে ধুলিহর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বোরহান উদ্দিন গোটা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। এঘটনায় রবীন্দ্র কর্মকার থানায় অভিযোগ করার কারণে তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে বোরহান ও তার লোকজন।
এ ব্যাপারে উক্ত বোরহান উদ্দিনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি, স্বপন ও জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ডাব খেতে গিয়েছিলাম। বর্তমানে রবীন্দ্র কর্মকার ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তিনি অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]