আশাশুনিতে নৌকার পক্ষে কাজ করার অপরাধে স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের সদস্য কর্তৃক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিবারের উপর নগ্ন হামলা এবং হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত অনিল কৃষ্ণ মন্ডলের পুত্র সত্যাজিত মন্ডল বলেন, আমি শ্রীউলা ইউনিয়ন পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। সদ্য সমাপ্ত ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে কাজ করি। এতে স্থানীয় মোস্তফা আকুঞ্জীর পুত্র স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সক্রিয় সদস্য জহুরুল ইসলামসহ তাদের হোতারা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হামলা, মামলা ইউনিয়নটির নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দেখা দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আমার বাড়িঘর ভাংচুর, মৎস্য ঘের লুটপাট, ঘরবাড়ী ভাংচুর এবং জীবন নাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছিল। এতে আমি জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে গত ১ জানুয়ার২০২২ তারিখে আশাশুনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যার নং- ৩৫৪। সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি জানতে পেরে জহুরুল গং আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে গত ১৩ ফেব্রæয়ারি২০২২ তারিখ সকাল ৮টার দিকে জহুরুল ইসলাম, ফিরোজ আলীর ছেলে আশরাফুল, জলিল মোল্যার ছেলে ই¯্রাফিল মোল্যা, মৃত অজেদ আলী সানার ছেলে রমজান আলী সানা, জেহের আলী বিশ্বাসের ছেলে মহসিন আলী বিশ্বাস, আফসার আলী গাজীর ছেলে আরিফুল গাজীসহ কতিপয় ব্যক্তি অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রথমে আমার মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করে লুটপাট করতে থাকে এবং ঘের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমিসহ আমার স্ত্রী মহারাণী ও কন্যা রূপা মন্ডল সেখানে পৌছানো মাত্রই তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারাত্মক জখম অবস্থায় মৎস্যঘেরে ফেলে দেয়। আমার স্ত্রী তাদের হাত থেকে আমার রক্ষা করতে আসলে তার ডান পায়ে লোহার রড দিয়ে বাড়ি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার কন্যা রূপাকে জাপটে ধরে এবং পরনের জামাকাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটনায়।
এছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের কবল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে ৯৯৯ এ ফোন করলে আশাশুনি থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার ঘটনায় আমার স্ত্রী ডান পায়ের অপারেশন করা হয়েছে। এছাড়া আমার এবং কন্যার মাথায় মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়েছে। অথচ ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করা হয়নি। উল্টো আমাদের নানান ধরনের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। আমার স্ত্রী এখনো মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আমি এবং কন্যাও সুস্থ হতে পারেনি। শুধুমাত্র নৌকার পক্ষে কাজ করায় আজ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের হাতে বার বার নির্যাতিত, নিস্পেসিত হচ্ছি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]