জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়ায় সরকারি রাস্তায় ইট তুলে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলাউদ্দীন গাজীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের নয়াখালী গ্রামে।
সরেজমিনে ঘুরে ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, হাজরাখালী খেয়াঘাট (বিছট) হইতে নয়াখালী মসজিদ গামী প্রায় ১.৫ কি:মি: রাস্তা। নয়াখালী গ্রামের চলাচলের জন্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের সময় নির্মাণ করা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান।
কিন্তু উক্ত রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ী বাধ হওয়ায় পুর্ণরায় রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য মাটির কাজ শুরু করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, সাতক্ষীরা। উক্ত ডাবল ইটের ১০ফুট প্রস্থ ১.৫ কি:মি রাস্তা নির্মাণের সময় প্রায় ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ইট দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল স্থানীয়রা সহ নির্মাণের কাজের সংশ্লিষ্টরা জানান।
নয়াখালী গ্রামের প্রায় বাড়ীতে গেলেই দেখা মিলছে উক্ত রাস্তার ইটের। নয়াখালী গ্রামের রইচ উদ্দীন সরদার এর পুত্র সালাম সরদার, খালেক শেখ এর পুত্র কবির শেখ, ইমদাদুল শেখ, নজুরুল ইসলাম, শেখ মিনারুল শেখ খোকন শেখ, মনির শেখ, এছাক শেখ রবিউল সহ স্থানীয়দের বাড়ীতে গেলে রাস্তায় ইট তাদের বাড়ীতে ২ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত ইট রাখা দেখা যায়।
কিছু ইট মসজিদের সামনে রাখা আছে। তবে সাংবাদিকদের উপস্থিতেতে কেউ নাম প্রকাশ করতে ইচ্ছুক না হলেও ইট কেন তাদের বাড়ীতে জানতে চাইলে নারী-পুরুষ সকলে সাংবাদিকেদের জানান আমরা হাজার প্রতি ৭ হাজার টাকা করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বর) আলাউদ্দীনের নিকট হতে ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ একজন মেম্বর উক্ত ইট গুলো সংরক্ষণ করবে তা তিনি না করে উক্ত ইট বিক্রয় করে অর্থ স্বার্থ করছেন। এঘটনায় ইউপি সদস্য আলাউদ্দীনের নিকট ইট বিক্রয় বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রথম সাংবাদিকদের সাথে অস্বাকার করলেও পরবর্তীতে তিনি ৭০ হাজার টাকার মত ইট বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রনি আলম নূর এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে যত দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]