আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের লবণাক্ততা জমিতে প্রথমবারের মতো বোরো ধানের আবাদ ব্যাপক ফলন হয়েছে। ভাইরাসজনিত কারণে বাগদা চিংড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৎস্য চাষের পরিবর্তে ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে তারা। বিঘা প্রতি ২৫/৩০ মন ফলন পাবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরজমিনে ঘুরে আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবসিয়া গ্রামের শাহিনুল ইসলাম জানায়, কয়েক বছর ধরে বাগদা চিংড়ি ঘেরে ভাইরাসজনিত কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এলাকার অধিকাংশ চাষীরা এলাকা ছেড়ে অন্য উত্তরে চলে গেছে। ফলে আমরা কয়েকজন মিলে গরমের ধান করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। এবছর প্রায় তিন শতাধিক বিঘা জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ধান ভালো হয়েছে। ঠিক মত সার এবং পানি দিতে পারলে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মন ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
একই গ্রামের আসাফুর রহমান জানান, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে আয়শ ধান ২৮, শক্তি -২, ব্লাক বড় মিনিকেট ও ৮৬ ধানের চাষ করেছি। ধান অনেক ভালো হয়েছে। তবে এই পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কোন রকম সহযোগিতা পাননি বলে তিনি জানান।
কাকবসিয়া গ্রামের রুহুল কুদ্দুস, আব্দুল্লাহ গাজী, খায়ের গাজী ,আবুল কালাম, মনিরুল ইসলাম জানান, মনিপুর ব্লকের কাকবাসিয়া, চেচুয়া, আনুলিয়ার একটি অংশ প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এলাকার মানুষ যখন মাছ চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঠিক সেই সময় বিকল্প হিসেবে ধান চাষ বেছে নিয়েছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল লবণ পানি তুলে ধানের ফসল ক্ষতি করার চেষ্টা করার পায়তারা করছেন। এবছর ফসল ভালো হলে আগামীতে মাছ চাষের পরিবর্তে অধিকাংশ জমিতে ধান চাষ করা হবে বলে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
আশাশুনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান এ বছর ৯৩৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে আনুলিয়া ইউনিয়নের ১০৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত স্যারের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঠিকমতো পানি সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করে যেতে পারলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]