সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৯নং আনুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের বিরুদ্ধে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে আনুলিয়া ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অগঠনতান্তিকভাবে গঠিত ওই পকেট কমিটি বাতিল পূর্বক নতুন করে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন আ’লীগের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আনুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান বলেন, ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে নির্বাচনের মাধ্যমে আনুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীগের কমিটি গঠিত হয়। সেই থেকে আমরা সকলে ইউনিয়ন আ’লীগকে সুসংগঠিত করতে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন সম্মেলন না করে নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমনকি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদককে না জানিয়ে সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিকভাবে দলে অনুপ্রবেশকারি হাইব্রীডদের নিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের একটি পকেট কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিতে তারা আপন তিন ভাই, একজন চাচা, চাচাতো ভাই, দুই ফুফাতো ভাই, আপন মামা ও মামাতো ভাই রয়েছে। এছাড়া ওই পকেট কমিটিতে বিএনপি ক্যাডার, রাজাকার পরিবারের সদস্য ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে রাখা হয়েছে। পক্ষান্তরে ইউনিয়ন আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ সিনিয়র নেতা কর্মীদেরকে ওই কমিটিতে রাখা হয়নি। পরে তিনি উপজেলার সভাপতি ও সম্পাদককে ভুল বুঝিয়ে ওই পকেট কমিটি অনুমোদন করিয়েছেন। ফলে লিটন এর স্বেচ্চাচারিতার কারণে আ’লীগের অনেক ত্যাগী নেতাকমী ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিজের হিনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য লিটন আনুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে পুজি করে চেয়ারম্যান লিটন নিজের ও স্ত্রী’র নামে বেনামে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আলমগীর আলম লিটন একজন স্বার্থন্বেষী, অর্থপিপাসু, দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতালোভি ও অহংকারি ব্যক্তি। তিনি সব সময় দাম্ভিকতার সাথে বলে বেড়ান “আমার জনগণের ভোট লাগবে না, সরকারের প্রয়োজনে নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে”। একারণে ইউনিয়নের প্রকৃত আ’লীগের নেতা কর্মীদের বঞ্চিত করে আলমগীর আলম লিটন জামায়াত ও বিএনপি’র লোকদেরকে পৃষ্টপোষকতা করে চলেছেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময় তিনি সেনাবাহিনীতে চাকুরির জন্য জামায়াতের রোকন নয়াখালী গ্রামের জহির উদ্দিনের এক ছেলে ও নাশকতা মামলার আসামী বিএনপি ক্যাডার বিছট গ্রামের আবদুল মোড়লের দুই ছেলেকে আওয়ামী পরিবারের সন্তান বলে সনদ দিয়েছেন।
ফারুকুজ্জামান আরো বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ি একই ব্যক্তি উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি ও ইউনিয়নের সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। কিন্তু আলমগীর আলম লিটন দু’টি পদেই রয়েছেন। যে কারণে গঠনতন্ত্র অনুযায়ি স্বচ্ছতার সাথে আওয়ামীলীগের আনুলিয়া ইউনিয়ন কমিটি নবায়ন করা দরকার।
তিনি আনুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে আলমগীর আলম লিটন কর্তৃক গঠিত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের পকেট কমিটি বাতিল করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ি কমিটি নবায়ন ও লিটনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে আশাশুনি উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড অওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে দবির উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন গাজী, আশরাফ উদ্দীন, যুবলীগ নেতা নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]