প্রায় মাস দেড়েক আগে খালের বুকে ধ্বসে গিয়ে খান-খান হয়ে পড়েছিল কালভার্টটি। দেবে গেছে রাস্তা। বন্ধ হয়ে যায় যাতায়াত। বলছি, সেই আশাশুনি থেকে পারুলিয়া সড়কের কামালকাটি বাজারের কাছে ভেঙে যাওয়া কালভার্টটির কথা। এ কালভার্ট দিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, আশাশুনি জিসি থেকে পারুলিয়া জিসি সড়কের আশাশুনি অংশে শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কামালকাটি বাজারে বৃহৎ কালভার্টটি অবস্থিত। সড়কের চেইনেজ ১১৭০০.০০ মিটারে কালভার্টটি অবস্থিত। সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কালিগঞ্জ, দেবহাটা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাথে আশাশুনি উপজেলা এবং পার্শ^বর্তী পাইকগাছা, কয়রাসহ বিভিন্ন উপজেলার সংযোগ সড়ক এটি। এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। মালামাল পরিবহণসহ বিভিন্ন কাজে সড়কটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবাহিত নদী খনন কাজ করাচ্ছে। কয়েকদিন আগে কোন রকম প্রোটেকশন ব্যবস্থা ছাড়াই তারা খাল-নদী খননের কাজ করে। ফলে ব্রিজের এ্যাপ্রোচ বসে গেছে এবং ব্রিজের পূর্ব পাশে ৩ ফুট বসে গেছে এবং ব্রিজের উইং ওয়াল ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট এলজিইডিকে অবহিত না করেই কাজ করেছে। এধরণের অনুমতি না নেওয়ার ঘটনা ইতোপূর্বে অনেক স্থানে ঘটলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন রূপ ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে সচেতনমহল জানিয়েছেন। বুধহাটা ইউনিয়নে বøুগোল্ড একইভাবে এলজিইডির অনুমতি ছাড়াই সড়ক কেটে কালভার্ট নির্মাণ করেছিল এবং এলাকার মানুষ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানেই কোন প্রতিকার হয়নি বলে তারা মন্তব্য করেন। বর্তমানে সরকারের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি করলো এবং জনভোগান্তির সৃষ্টি করলো যারা তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? জনভোগান্তির অবসান কবে নাগাদ হবে? এমন হতাশাজনক প্রশ্ন উত্থাপন করে তারা অবিলম্বে প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এলজিইডিকে অবহিত না করে, কোনরকম প্রোটেকশান ব্যবস্থা না করে, খাল খননের সময় এ্যাপ্রোচ বসে গেছে, ব্রিজের উইংওয়াল ভেঙে গেছে। এব্যাপারে জরুরীভিত্তিতে ব্রিজের উক্ত অংশ মেরামত করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তারপর কেটে গেছে অনেকদিন। কিন্তু সেই পত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছেছে কীনা তার নমুনা দেখতে পায়নি এলাকবাসি। কবে হবে ব্রিজের সংস্কার? তা অজানা। তিন উপজেলার মানুষের জন্য এ ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদ।
সূত্রে. পত্রদূত
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]