আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড়ে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকে আবারও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিন বন্দ থাকার পর সম্প্রতি হাসপাতাল চালু হলে প্রথম সিজারিয়ান অপারেশানে এ নবজাতের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানাগেছে। জানাগেছে, উপজেলার বড়দল গ্রামের মান্নান সানার স্ত্রী মারুফা খাতুনকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য কয়েকদিন আগে এক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ৫মার্চ বিকালে ডাঃ আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগী ওমর ফারুক মারুফা খাতুনকে সিজার করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। তবে অপারেশন থিয়েটারে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ছিলো না বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে অপারেশন করা হলেও নবজাতক বাচ্চাটির শেষ রক্ষা হয়নি। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে মা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের পরিচালনক তরুণ কুমার মন্ডল কাগজ কলমে রুগীর অভিভাবকদের নিকট থেকে কোন অভিযোগ নেই মর্মে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে বলে জানান অভিভাবকরা। ক্লিনিকে ভূল অপারেশানের কারনে ইতিপূর্বে ৮/১০ জন মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছলি। ভ্রাম্যমান আদালতে ক্লিনিক সিলগালা ও পরিচালনক তরুণ কুমার মন্ডলকে কারাবাসও করতে হয়েছে। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাইন বোর্ড বিহীন ভবনে মারুফা খাতুনের প্রথম অপারেশনে আবারও মৃত্যুর ঘটনা মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে তরুণ কুমার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বাচ্চা আগে থেকেই মায়ের পেটে মরা ছিলো। আমার ক্লিনিকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে মরা শিশু অপারেশন করেছি মাত্র।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]