জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে সরকারি ০১ ও ১/১ খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে বেআইনীভাবে সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় গঠিত চিংড়ি ক্লাসটার মৎস্য প্রকল্প বন্ধের জন্য ৫নং বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মিটিয়ে সাময়িক স্থগিত করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলাধীন লক্ষীখোলা গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার পুত্র আজাহারচ্ল ইসলাম মন্টু ফকরাবাদ মৌজার বি,আর,এস ৭৫৪৩ দাগে ৪৪ শতক, ৭৫৪৬ দাগে ২৫ শতক, ৭৫৪৭ দাগে ০৯ শতক, ৭৫৪৮ দাগে ১.৩০ শতক, ৭৫৫০ দাগে ২.৪৩ শতক, ৭৫৬৫ দাগে ৯৭ শতক ও ৭৫৪৪ দাগে ১.৭৪ শতক সহ সর্বমোট ৭.২২ একর সরকারি খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে এ প্রকল্প করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার জানান প্রকল্পটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে সময়িক স্থগিত করা হয়েছে এবং উন্নয়ন সমন্বয় মিটিংয়ে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জগদীশ চন্দ্র সানা জানান আজারুল ইসলাম মন্টু বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নাশকতাকারী নেতা।
তার নামে আশাশুনি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে উক্ত প্রকল্পে মন্টুর রেকর্ডীয় ২০/২১ বিঘা জমি রয়েছে। নিজস্ব জমিতে প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৭ একর ২২ শতক খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে একাধিক নাশকতার মামলার আসামিসহ ২০ জন সদস্য নিয়ে প্রকল্পের কমিটি করা হয়েছিল। স্থানীদের দাবী উক্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং এটি সরকারি জমিতে নয় বরণ নিজ মালিকানাধীন জমিতে করতে হবে।
উক্ত প্রকল্পটি বন্ধের জন্য সকলেই সুপারিশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা আরও জানান উক্ত প্রকল্পটি সরকারি জমিতে না হয় এবং নাশকতাকারির হাতে না যায় তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]