জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে সরকারি ১নং ও ১/১নং খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে বেআইনীভাবে সাসটেইনেবল কোস্টাল এ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় গঠিত চিংড়ি ক্লাসটার মৎস্য প্রকল্প বন্ধের জন্য বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা বাদি হয়ে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে সাতক্ষীরা-৩ এর সাংসদ ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক উক্ত প্রকল্প জরুরীভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে সুপারিশ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলাধীন লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্যার পুত্র আজাহারুল ইসলাম মন্টু ফকরাবাদ মৌজার বি,আর,এস ৭৫৪৩ দাগে ৪৪ শতক, ৭৫৪৬ দাগে ২৫ শতক, ৭৫৪৭ দাগে ০৯ শতক, ৭৫৪৮ দাগে ১.৩০ একর, ৭৫৫০ দাগে ২.৪৩ একর, ৭৫৬৫ দাগে ৯৭ শতক ও ৭৫৪৪ দাগে ১.৭৪ একর সহ সর্বমোট ৭.২২ একর সরকারি খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে এ প্রকল্প করা হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিৎ মজুমদার জানান প্রকল্পের ডিড এখনো আমরা হাতে পাইনি। নাশকতার মামলার আসামি প্রকল্পের সদস্য থাকতে পারবে না বলে জানান। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জগদীশ চন্দ্র সানা জানান আজারুল ইসলাম মন্টু বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একজন নাশকতাকারী নেতা। তার নামে আশাশুনি থানায় ২৭৬/২৩নং সহ ছয়টি নাশকতা মামলা রয়েছে।
উক্ত প্রকল্পে মন্টুর রেকর্ডীয় ২০/২১ বিঘা জমি রয়েছে। নিজস্ব জমিতে প্রকল্প হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৭.২২ একর খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে একাধিক নাশকতার মামলার আসামিসহ ২০ জন সদস্য নিয়ে প্রকল্পের কমিটি করা হয়েছে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ডিড হাতে না পেয়ে কিভাবে জমিতে প্রকল্প করছেন এটাই এলকাবাসীর প্রশ্ন।
তিনি আরও জানান কাগজ কলমে প্রকল্পের জমি ৮০ বিঘা দেখানো হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে ২৫/৩০ বিঘা জমি নিয়ে ভুয়া প্রকল্প করা হচ্ছে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের উক্ত প্রকল্পের ভিতর সরকারি জমি নাশকতাকারীর হাতে না যায় তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]