আশাশুনির শীতলপুর কুলসুমিয়া এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ আকরাম হোসেন ও তার ভাইকে মারপিটের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক ও ৯/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে আশাশুনি থানায় ১৮ নং মামলা দায়ের হয়েছে। আকরাম হোসেনের স্ত্রী তানিয়া আকরাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, সদর ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মোকবুল গাজীর পুত্র হোসেন গাজী কমলাপুর সাকিনস্থ আকরামের জমির পাশের্^ হোসেন গাজী জমি দাবী করে কিছু অংশ জমির সংযোগ করে মাটি ভরাট করে। বিষয়টি আকরাম হোসেন জানতে পেরে রবিবার সকাল সাড়ে এগার টার সময় উক্ত স্থানে যেয়ে তিনি হোসেন গাজীকে বলেন মাপ জরিপ না করে মাটি ভরাট করেছ কেন। এঘটনার জের ধরে তর্কাকর্তি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে আকরাম হোসেন তর্কাতর্কি না করে মোটর সাইকেল যোগে শীতলপুর সাইক্লোন শেল্টারের পশ্চিম পার্শে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই মৃত খালেক গাজীর পুত্র রহিম গাজীর হুকুমে মোকবুল গাজীর পুত্র হোসেন গাজী, হোসেন গাজীর পুত্র রবিউল, আনারুল, বাশারুল সহ ১৫/২০ জন আলহাজ আকরাম হোসেনের গতি রোধ করে দা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি ও জিআই পাইপ দিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আকরামের বড় ভাই আয়ুব সরদার জানতে পেরে আকরামকে ঠেকাতে এলে তাকেও মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় আকরামের স্বর্ণের ব্যাচলেট, নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন ও আংটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকারে পাশবর্তী লোকজন ছুটে এলে হোসেন গাজী গংরা হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। আকরাম ও তার ভাই আয়ুব সরদারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের দুইজনকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তানিয়া আকরাম আরও জানান, হোসেন গাজী গংদের কিছু না হলেও তারা মিথ্যা নাটক সৃষ্টি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। কোন দুষ্কৃতিকারীরা রেহাই পাবে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]